ট্রাফিক ডেপুটি পুলিশ সুপারকে অটো চালকদের ডেপুটেশান

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৮ এপ্রিল৷৷ শালবাগান নরসিংগড় ও গান্ধীগ্রাম রোডের অটো রিক্সাগুলিকে জ্যাকশন গেইট পর্যন্ত চলাচল করার অনুমতি দেওয়ার জন্য দাবি জানিয়েছে অটো চালকরা৷ ত্রিপুরা অটো রিক্সা শ্রমিক সংঘ এই দাবিতে বৃহস্পতিবার ট্রাফিক পুলিশের ডিএসপি বনুজ বিপ্লব দাসের কাছে ডেপুটেশন ও স্মারক লিপি প্রদান করেছে৷ অটো শ্রমিকরা বলেছেন, শালবাগান নরসিংগড় ও গান্ধীগ্রাম রোডের অটো রিক্সাগুলো যাত্রী নিয়ে শহরে ঢুকলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর মনোভাব গ্রহণ করে চলেছে ট্রাফিক পুলিশ৷ তারা যাত্রী ওঠানামা করতে পারছে না৷ তাদের জন্য কোন স্ট্যান্ড নেই৷ ফলে, অটো চালকরা বিপাকে পড়েছেন৷ স্ট্যান্ড না থাকার কারণে ঐ সব রোডের অটো চালকরা কামান চৌমুহনী আইল্যান্ডে অটো ঘুরিয়ে পুনরায় গন্তব্যস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দেন৷ এক্ষেত্রে খড়গহস্ত হয়ে ওঠেছে ট্রাফিক পুলিশ৷ এই সব রোডের অটো দেখলেই আটক করে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করা হচ্ছে৷
তাতে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অটো চালকরা৷ বুধবার অফিস টাইমেও ঐ রোডের এক অটো চালককে আটক করে জরিমানা আদায় করার চেষ্টা করে ট্রাফিক পুলিশ৷ এনিয়ে বাকবিতন্ডা শুরু হয়৷ এমনতি শেষ পর্যন্ত ঐ অটো চালককে পুলিশের হাতে তুলে দেয় ট্রাফিক পুলিশ৷ এধরনের ঘটনায় ক্ষুব্ধ অটো চালকরা৷ তারা অটোর স্ট্যান্ড সাপেক্ষে জ্যাকশন গেইট পর্যন্ত অটো চলাচলের অনুমতি দেওয়ার জন্য দাবি জানান৷ ট্রাফিক পুলিশের ডিএসপি বনুজ বিপ্লব দাস অবশ্য এধরনের অনুমতি দিতে অস্বীকার করেছেন৷ কারণ হিসেবে বলেছেন, এসব অটোর ইন্সুরেন্স জ্যাকশন গেইট পর্যন্ত কবার করবেনা৷
সে কারণেই দুর্ঘটনা ঘটলে দুর্ঘটনাগ্রস্তরা ইন্সুরেন্সের লাভালাভ থেকে বঞ্চিত হবেন৷ সে কারণেই আইনগত ভাবে ঐসব অটোকে জ্যাকশন গেইট পর্যন্ত চলাচলের অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয় বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বনুজ বিপ্লব৷ শুধু তাই নয় রোড পারমিটের বিষয়টি পরিবহন দপ্তরের বিষয় বলে কেটে পড়ার কৌশলও নেন ডেপুটি ট্রাফিক পুলিশ সুপার৷