BRAKING NEWS

একদিনের বৃষ্টিতেই অলিগলি পথ সহ গোটা খোয়াই শহর জলমগ্ণ, পৌর এলাকার অবৈজ্ঞানিক ড্রেন উপচে নোংরা জল ফুটপাতে

KHOWAI RAINনিজস্ব প্রতিনিধি, খোয়াই, ২৮ মার্চ৷৷ খোয়াই পৌর এলাকায় একদিনের প্রবল বৃষ্টিতে নাজেহাল পুরবাসীরা৷ শহরের উপর বিশাল খেলার মাঠ, ছোট-বড় গলিপথ থেকে এমনকি রাজপথ আজ জলমগ্ণ৷ জনগন এবং বেশ কিছু ইঞ্জিনিয়ার-এর মতে পুর পরিষদের দূরদর্শিতার অভাব এবং আংশিক জনগনের স্বার্থ আদায়, সমগ্র খোয়াই পুর পরিষদ এলাকার জনগনের ভোগাস্তির কারন৷ খোয়াই পুর পরিষদের পরিকল্পনার ঘাটতি রয়েছে এবং সংবাদ মাধ্যও বিজ্ঞজনেরা পরিকল্পনার দিশা দেখালেও তা মানতে নারাজ পৌর কর্তারা৷ কারন উনারাই যে সবজান্তা৷ দুরদর্শিতার অভাব রয়েছে এমন বাস্তব কিছু উদাহরন যদি তোলে ধরার বিষয় আসে, তখন প্রথম বলতেই হয় পুর এলাকার ড্রেন র্নিমানের কথা৷ প্রায় শতকরা ৯৮ শতাংশই অবৈজ্ঞানিকভাবে নির্মিত৷ ড্রেন যে কারনে নির্মিত হয়েছে সেই জলই নিষ্কাশন হয়না ড্রেন দিয়ে৷ সুভাষপার্ক বাজারে ড্রেনগুলির একই অবস্থা৷ যেকারনে নুংরা আর্বজনার স্তুপ ড্রেনে পড়ে পড়ে দূগন্ধের সৃষ্টি করে৷ নজর নেই পুর কর্তৃপক্ষের৷ এরপর বলতে হয় বর্ষার মরশুমে রাস্তার জল ড্রেন দিয়ে নিষ্কাশিত হবার কথা৷ কিন্তু বেশ কিছু ব্যবসায়ী দোকানের সামনে মাটি ফেলে এমনভাবে নিজের সুবিধা ভোগ করতে ব্যস্ত যেকারনে রাস্তার জল রাস্তায় এবং ফুটপাত দখলে ঐসব ব্যবসায়ীদের৷ অথচ পুর পরিষদ বা পূর্ত্ত দপ্তর নিরবাক৷ এছাড়া পুর এলাকায় অবৈধভাবে প্রায় ৯০ শতাংশ পুকুর ভরাট হচ্ছে৷
শহরের আশপাশে ছোট ছোট ছড়াগুলো আজ বেদখল৷ ছড়া দখল করেছে পুর পরিষদ এবং বেশ কিছু স্বথান্বেষী মানুষ৷ এছাড়া ছড়ার বুক ভরে উঠছে শহরের আর্বজনায়৷ ছোট ছোট ছড়াগুলো শহরের আর্বজনার পাহাড় আর বইতে পারছেনা৷ যেকারনে ছড়ায় জমে থাকা আর্বজনার পাহাড় থেকে মশা-মাছি সহ অস্বাস্থ্যকর দূগন্ধের সৃষ্টি হচ্ছে৷ শুধু কি ছড়াগুলোরই এই অবস্থা? না, শহরের অভ্যন্তরে সুভাষপার্ক বাজারে সমস্ত মাছ-মাংসের অবশিষ্টগুলো ছড়ায় এবং বাজারের ডাষ্টবিনে ফেলেন দোকানারী৷ এই ডাষ্টবিনগুলো নিয়মিত পরিস্কার করা হয়না৷ এর ফলে বাজারে সরবদা দূগন্ধ ছড়িয়ে থাকে৷ ড্রেনগুলো এই ময়লা-আর্বজনায় ফুলে -ফেঁপে উঠে আর বর্ষার সময় সামান্য বৃষ্টিতেই ড্রেনগুলি ভরে উঠে শহরের রাজপথ জলমগ্ণ করে তুলে৷ যদি লাগাতর বৃষ্টি হয় তবে ভয়ানক রূপ নেবে পৌর এলাকার বিভিন্ন জায়গাই৷ তারমধ্যে সুভাষপার্ক বাজারে ওয়ান-ওয়ে রাস্তা, যা দেখে বিভিন্ন মহকুমার মানুষ খোয়াই শহরের উপর দিয়ে যাবার পথে বিদ্রুপের হাসি হাসেন৷ সব মিলিয়ে পৌর সভার অতিবিজ্ঞ, সবজান্তা কতাদের ধৃতরাষ্ট্র না হ য়ে বিজ্ঞজনের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে জনগনের জন্য একটু ভাবা উচিত বলেই মনে করছেন খোয়াইবাসী৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *