BRAKING NEWS

পদ্মবিল ব্লকের বিভিন্ন এডিসি ভিলেজে জলের জন্য হাহাকার

নিজস্ব প্রতিনিধি, খোয়াই, ৬ মার্চ৷৷ এখনও শুখা মরশুম শুরুই হয়নি৷ কিন্তু রাস্তায় রাস্তায় জলের পাত্রের দীর্ঘ লম্বা লাইন৷ এই দৃশ্য দীর্ঘ ১৫ বছরের৷ খোয়াইয়ের পদ্মবিল ব্লকের অন্তগর্ত ১৫টি এডিসি ভিলেজের সাধারন মানুষকে বিশুদ্ধ পানীয় জলের জন্য দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত লড়াই করতে হচ্ছে৷ কিন্তু গলা শুকিয়ে আসলে পাহাড় বেয়ে যে আসতে হয় সমতলেই৷ DSCN6917অথচ পানীয় জলের জন্য সবচেয়ে বেশী অর্থ বরাদ্দ সত্বেও উপজাতি অধ্যুষিত গ্রামে পানীয় জলের তীব্র হাহাকার দেখা দিয়েছে৷ রামচন্দ্রঘাট বিধানসভার টানা ১৫ বছরের বিধায়ক পদ্মবিল ব্লকের অধীন এডিসি ভিলেজের সাধারণ মানুষকে পানীয় জলের জন্য ১৫ বছরেও কিছু করে উঠতে পারলেন না৷ আজ পদ্মবিল ব্লকের বহু এডিসি ভিলেজের সাধারন মানুষকে রাস্তায় বালতি, কলসি, গামলা, ডেগ ইত্যাদি পাত্র নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয় জল নিয়ে ব্লকের গাড়ী কখন আসবে৷ পদ্মবিল ব্লকের এই চিক্র বছর দশেক ধরেই চলছে৷ অথচ পানীয় জল ও সেনিটেশান  প্রকল্পে  প্রতি বছর কেন্দ্রীয় বরাদ্ধ কোটি কোটি টাকা আসছে এই পদ্মবিল ব্লকে৷ সরকারী টাকা ব্যয়ে প্রতিবছর পদ্মবিল ব্লকের সবকটি ভিলেজে পানীয় জলের উৎস্য তৈরীর ওয়াক অর্ডার মানুষ দিশেহারা৷ পদ্মবিল ব্লকের গয়ামনি, মারেহাদুক, দক্ষিণ পদ্মবিল, উপেন্দ্রনগর, আখরাবাড়ী, তুই হা-চিং বাড়ী, রামদয়াল বাড়ীসহ আরও কয়েকটি এডিসি ভিলেজে পানীয় জলের উৎস্য নেই৷ তাছাড়া ছনখলা, শরৎ চৌধুরী পাড়া সহ অগনিত পাড়া পানীয় জল শূন্য৷ প্রতি বছর পদ্মবিল ব্লক থেকে সিনটেঙ্খ এ জল ভরে গাড়ী করে ঐ জলে পৌঁছানো হয় ঐ সমস্ত গ্রাম গুলিতে৷ প্রশ্ণ উঠছে প্রতি বছর পানীয় জলের নতুন নতুন ওয়াক অর্ডার করা হলেও পনের বছরের মধ্যে কে কোন গ্রামেই পানীয় জলের সমস্যা তিনি দূর করতে পারেনেন না৷ প্রশ্ণের পর উঠছে জনমনে সন্দেহ৷ পনের বছর ধরে বিধায়ক গ্রামের পাড়ায় পাড়ায় জলের উৎস্য তৈরী করে দেওয়ার পরও কেন সাধারন মানুষ জল সংগ্রহের জন্য রাস্তায় বালতি, কলসি, গামলা ও ডেগ নিয়ে হাজির হচ্ছে৷ এলাকার বিধায়ক একবারও খোঁজ খবর নেন নি গ্রামে তৈরী করা পানীয় জলের উৎস্য গুলির কি হয়েছে৷ আদৌও কি পনেরটি বছর ধরে পানীয় জলের উৎস্য তৈরীর ওয়ার্ক অর্ডার এর সঙ্গে কাজ হয়েছে না ওয়ার্ক অর্ডারের সরকারী অর্থ গুলি লুট হয়েছে৷ জানা যায়, প্রতিটি পঞ্চায়েতে পানীয় জলের জন্য যে বরাদ্দ গিয়েছে তার সিংহভাগ অর্থই পানীয় জলের উৎস্য তৈরীর কাজে লাগানো হয় নি৷ পঞ্চায়েত চেয়ার্যান, মেম্বার এবং গ্রাম ভিক্তিক স্থানীয় নেতাদের ছোবলেই নাকি তা শেষ হয়ে গিয়েছে৷ পানীয় জলের জন্য কেন্দ্রীয় বরাদূ সত্বেও রাস্তায় বালতি, কলসি, গামলা নিয়ে গ্রামের মানুষদের ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করা , এক ফু টা জলের জন্য খোয়াই আগরতলা ভায়া সুবল সিং রাস্তার উভয় পাশে এই ধরনের দূদর্শার চিত্র প্রতিনিয়তই দেখা যায়৷ উপেন্দ নগর এডিসি ভিলেজের মানুষ প্রচন্দ্র জল কষ্টে দিন যাপন করছেন বলে জানান৷ ব্লক থেকে গাড়ীর মাধ্যমে সিমিত জল সরবরাহ নিয়ে গ্রামের মানুষ জানালেন ঐ গাড়ীও একদিন আসলে দুদিন আসে না৷ শেষে বাধ্য হয়ে কাঁচা কুয়া বা স্থানীয় ছড়ার জলই সংগ্রহ করতে হচ্ছে৷ গ্রামে গ্রামে পানীয় জল সরবরাহ  নিয়ে বিধায়কের ব্যর্থতাকেই দায়ী করছেন সাধারন মানুষ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *