BRAKING NEWS

ভয়ানক বিষ থাবা

Bakeryবাম শাসিত রাজ্যে বেআইনী কাজের ঘটনা দিনে দিনেই বাড়িয়া চালিয়াছে৷ জনস্বাস্থ্য নিয়া যত বেশী চিৎকার চলে, চলে লম্বা চওড়া বত্তৃণতা ততই গোল্লায় যাইতেছে জনতার স্বাস্থ্য রক্ষার যাবতীয় উদ্যোগ৷ লক্ষ লক্ষ মানুষ রাজ্যের বিভিন্ন বেকারী, ফাস্টফুডের দোকানের খাবার নিতেছেন৷ এইসব খাবারের বাণিজ্য শুধু ত্রিপুরাতেই নহে বিভিন্ন রাজ্যে তাহা সগৌরবেই চলিতেছে৷ আর এই অস্বাস্থ্যকর খাবার ইত্যাদির কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হইতেছেন সাধারণ মানুষ৷ কিন্তু, এই সব জনস্বাস্থ্য হানিকর বাণিজ্যের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের জনস্বাস্থ্য রক্ষায় নিয়োজিত দপ্তর বা কর্তাদের ভূমিকা তো নৈরাশ্যজনক৷ রাজ্যের, বিশেষ করিয়া রাজধানী আগরতলার বিভিন্ন বেকারী, রেস্তোঁরা, মিষ্টির দোকান ইত্যাদি বিভিন্ন খাবার তৈরীর কারখানাগুলির আস্বাস্থ্যকর অবস্থা জনস্বাস্থ্যের পক্ষে কী ভয়ানক তাহা তো বলিবার অপেক্ষা রাখে না৷ রাজ্যের বেকারগুলির উপর জনস্বাস্থ্যের পক্ষে কী ভয়ানক বিপজ্জনক তাহা তো বলিবার অপেক্ষা রাখে না৷ রাজ্যের বেকারগুলির উপর জনস্বাস্থ্য বিভাগের তেমন নজরদারীও নাই৷ সম্প্রতি, রাজ্যের, বিশেষ করিয়া আগরতলার বিভিন্ন দোকানে বিভিন্ন বেকারীর তৈরী করা পাউরুটি ইত্যাদির প্যাকেটে তৈরীর তারিখ মুদ্রিত থাকে না৷ এই অভিযোগে একটি বেকারীর দুই মালিককে আঠার হাজার টাকা জরিমানা করা হইয়াছে৷ নষ্ট হইয়া যাওয়া তৈরী পাউরুটিও দোকানে দোকানে বিক্রি হইতেছে৷ আর এইসব নষ্ট হওয়া বিষাক্ত রুটি ইত্যাদি খাইয়া বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হইতেছেন বহু মানুষ৷ শুধু তাহাই নহে জনস্বাস্থ্যের পক্ষে বিপজ্জনক বিভিন্ন হোটেলের রান্নাঘর৷ অপরিস্কার, বিভিন্ন পোকা মাকড়ের নিরাপদ আশ্রয় স্থল এই সব রান্নাঘরে হোটেলের আবাসিকদের জন্য রান্না হইতেছে৷ এইসব অভিযোগ দিনে দিনেই বাড়িয়া চলিয়াছে৷
আগরতলা পুর নিগমের স্বাস্থ্য পরিদর্শকরা কি ভূমিকা পালন করিতেছেন? পুর এলাকায় এই রকম বিষাক্ত থাবা বন্ধ করিতে নিগম নাড়িয়া চড়িয়া বসিতেছে না কেন? রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তর, খাদ্য দপ্তরের ফুড ইন্সপেক্টরদের দৌঁড়ঝাপ আগে কিছুটা দেখা যাইত৷ কিন্তু এখন এই ইন্সস্পেক্টর বাবুরা কি বহাল তবিয়তে আছেন? আসলে, খাদ্য ভেজাল রোধে এইসব খাদ্য পরিদর্শকদের ময়দানে নামানোর ক্ষেত্রেও সমস্যা আছে৷ তখন তো মাসোহারা চালু হইয়া যাইবে৷ এখনও তাহা চালু নাই এমন বলা যাইবে না৷ আধুনিক সভ্যতা এমনই যে, খাদ্যেও আসিয়াছে নতুন চাহিদা৷ হোটেল রেস্তোঁরায় ও রাস্তার ধারে বিভিন্ন ফাস্টফুডের দোকানগুলি কতখানি স্বাস্থ্য সম্মত তাহা পরীক্ষার ব্যবস্থা সত্বর করিতে হইবে৷ রাজ্যের সর্বত্র বিভিন্ন খাদ্য তৈরীর ক্ষেত্রেগুলিতে প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্য পরিদর্শন চালু রাখিতে হইবে৷
চারিদিকেই আজ মানুষ বিভিন্ন অস্বাস্থ্যকর অবস্থার মধ্য দিয়া চলিতেছে৷ আজ যখন আমরা ফাস্টফুড ইত্যাদির বিরুদ্ধে সরব হইতেছি তখন শাক সব্জি ইত্যাদির অবস্থা কি? অধিক ফসলের লক্ষ্যে, ইউরিয়া ইত্যাদি সার প্রয়োগ করিয়া তো বিষ মিশাইয়া দেওয়া হইতেছে৷ আর এইসব বিষ মিশ্রিত সব্জিই তো মানুষ গলাধঃকরণ করিতেছে৷ তাহারা তিলে তিলে মৃত্যুর কোলেই ঢলিয়া পড়িতেছেন৷ আজ ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য যেভাবে ফার্টিলাইজার ব্যবহার করা হইয়াছে এই কারণেই তো মারণব্যাধি থাবা বিস্তার করিয়াছে৷ আজ বিষমুক্ত সব্জি ও বিষ মেশানো বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী ব্যবহারের ক্ষেত্রে যদি লাগাম টানা না যায় তাহা হইলে আগামী দিনে ভয়ানক বিপদই আমাদের জন্য অপেক্ষা করিতেছে৷ ভেজাল ও বিষের এই থাবা হইতে মানুষকে রক্ষা করিতে না পারিলে ভবিষ্যতে বিশাল সমস্যাক্রান্ত হইবে বিশ্ব৷ সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নাই৷ মনে হয় গোটা পৃথিবীই যেন বিষময় হইয়া আছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *