BRAKING NEWS

ফুটপাত দখলমুক্ত করতে খোয়াই পুর পরিষদের অভিযান ঘিরে ক্ষোভ

Khowai MCনিজস্ব প্রতিনিধি, খোয়াই, ৪ মার্চ৷৷ প্রায় ১ বছরের মাথায় খোয়াই পুর পরিষদের অমানবিক ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে জনমনে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হল শুক্রবার৷ জনগণ বলছেন, খোয়াইয়ের সুভাষপার্ক বাজার তৎকালীন নটিফাইড এরিয়া, পরবর্তী সময়ে নগর পঞ্চায়েত এবং বর্তমানে পৌর পরিষদের অন্তর্ভুক্ত৷ ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী স্বর্গীয় নৃপেন চক্রবর্তী এবং বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী স মিতির চেষ্টায় গড়ে উঠা সুভাষপার্ক বাজার ত্রিপুরার মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য বাজার হিসাবে পরিচিতি লাভ করে৷ কিন্তু শুক্রবার সন্ধ্যায় খোয়াই পুর পরিষদের কর্মকর্তাদের আচরণে সে কৃষক বন্ধুরাই মনে দুঃখ,বেদনা নিয়ে বাড়ি চলে গেলেন৷ প্রতি বৎসর ফাল্গুন চৈত্র মাসে কৃষকদের উৎপাদিত ফসল অধিক পরিমাণে সুভাষপার্ক বাজারে নিয়ে আসেন৷ আলু টমেটো লাউ করলা বেগুন সহ নানান সবজি নিয়ে পসরা সাজিয়ে বসেন৷ নামে কৃষি বাজার হলেও মজুতদারদের দখলে থাকা সুভাষপার্ক বাজারে বেশি কৃষক আসাতে উনারা বসার জায়গা পান না (যদিও মূল সড়ক নয়)৷ রাস্তার ধারে বসেন বিকেল থেকে রাত অবধি৷ মরশুমে মাত্র ৪৫ দিন কৃষকদের উপস্থিতিকেই মেনে নিতে পারেনি খোয়াই পৌর পরিষদ৷ ফুটপাত দখল মুক্ত করার নামে শুক্রবার সন্ধ্যায় পুর কর্তারা অমানবিক নির্যানতন করলেন কৃষকদের উপর৷ পুর পরিষদের ফুটপাত দখলমুক্ত করার অভিযান সত্যিই প্রশংসনীয় উদ্যোগ৷ কিন্তু জনগণের অভিমত, সুভাষপার্ক বাজার এলাকায় সরকারি বিশাল জায়গা দখল করে ব্যবসা করছেন বহু ব্যবসায়ী৷ অথচ ওসব পুর কর্তাদের চোখে পড়ে না৷ ঐ সমস্ত জায়গা গেলে পুর কর্তারা ধৃতরাষ্ট্র হয়ে যান৷ শুক্রবার থেকে অমানবিক ঘটনা ঘটল গরিব নিরীহ কৃষদের সাথে৷ খেটে খাওয়া কৃষক ১৫ আঁটি কুমড়োর ডোগা নিয়ে বাজারে আসেন৷ খোয়াই বারবিল গ্রাম থেকে পাঁয়ে হেঁটে আসেন সুভাষপার্ক বাজারে৷ বাজারের ভেতরই রাস্তার পাশে ডোগা নিয়ে বসে পড়েন৷ কিন্তু পুর কর্তারা সঙ্গে সঙ্গেই কটি কুমড়োর ডোগা বাজেয়াপ্ত করেন৷ কৃষকরা দৌড়ে এসে হ াত জোর করে অনুনয় বিনয় করলেও, রাস্তায় না বসে বাজারের ভেতরে বসার অকুতি করলেও পুর কর্তাদের মন ভরাতে পারেননি৷ কৃষকদের বলতে শুনা গেল, বাবু এই ১৫ আঁটিই আমরা একমাত্র সম্বল৷ কিন্তু বাবুর কানে সে আকুতি পৌঁছাল না৷ বরং পুর কর্তারা বলে দিলেন, আগামীকাল অফিসে যাবেন, জরিমানা দিয়ে নিয়ে যাবেন৷ কৃষকরা পাল্টা আকুতি করলেন, বাবু কাল তো নষ্ট হয়ে যাবে৷ পুর কর্তারা সঙ্গে সঙ্গেই বলে উঠলেন, কেচ কেচ নয় ৫০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে৷ কৃষক ভয়ে ভারাকক্রান্ত হৃদয়ে সেখান থেকে চলে আসেন৷
শুক্রবার অমানবিক ঘটনার রেশ এখানেই শেষ হয়নি৷ বরং রাস্তার পাশে থাকা এক কবিরাজের ওষুধের অস্থায়ী দোকানও পুর কর্তাদের হাত থেকে রেহাই পেল না৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *