নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১ মার্চ৷৷ মেধার ভিত্তিতেই গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি পদে নিয়োগের বিষয়ে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মানতে রাজ্য সরকার বাধ্য নয় বলে জানালেন শিক্ষামন্ত্রী তপন চক্রবর্তী৷ রাজ্যের নির্দিষ্ট নিয়োগ নীতি রয়েছে৷ তাতে মেধা এবং সিনিয়রিটির ভিত্তিতে নিয়োগের বিষয়ে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে৷ মঙ্গলবার মন্ত্রিসভায় সাধারণ প্রশাসনে গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি পদে নিয়োগের নীতিমালায় সামান্য পরিবর্তনেরও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন৷ তাতে সিনিয়রিটির বিষয়টিতে মানদন্ড রাখা হয়েছে৷ নিয়োগের ক্ষেত্রে ১৮ বছর বয়সসীমার পর থেকে প্রতিবছর এক করে মানদন্ড যোগ করা হবে৷ তাতে সর্বোচ্চ মানদন্ড কুড়ি রাখা হয়েছে৷
এবিষয়ে মহাকরণে শিক্ষামন্ত্রী তপন চক্রবর্তী সাংবাদিকদের বিস্তারিতভাবে বলেন, ১৮ বছর বয়সসীমার পর থেকে চাকুরি পাওয়া পর্যন্ত যত বছর অপেক্ষমান থাকবেন চাকুরি প্রার্থী তার সাথে তত বছরের মানদন্ড যোগ করা হবে৷ তাতে সর্বোচ্চ মানদন্ড রাখা হয়েছে কুড়ি৷ এখন যদি কোন ব্যক্তি ১৮ বছর বয়সে পড়াশুনা শেষ করেন এবং ৪০ বছর বয়সে চাকুরি পান সেক্ষেত্রেও মানদন্ড হিসেবে কুড়ি যোগ হবে৷
কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ মেনে না চলার ক্ষেত্রে শিক্ষামন্ত্রীর যুক্তি, সম্প্রতি চাকুরি সংক্রান্ত ব্যাপারে হাইকোর্ট এবং সুপ্রিমকোর্টের বিভিন্ন রায়ের পর্যালোচনা করেই নিয়োগ নীতি নির্ধারণ করা হয়েছে৷ তাতে কিসের ভিত্তিতে মেধা এবং সিনিয়রিটি নির্ধারণ করা হবে তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে৷ সুপ্রিমকোর্ট এবং হাইকোর্টের বিভিন্ন রায় থেকে রূপরেখা নিয়েই রাজ্য সরকার নিয়োগ নীতি নির্ধারণ করেছে বলে তিনি দাবি করেন৷ পাশাপাশি বলেন, নতুন নিয়োগ নীতির মূল লক্ষ্য হল যাতে কোন নিয়োগের ক্ষেত্রে আগামীদিনে রাজ্য সরকারকে মামলা-মকদ্দমার ঝামেলা পোহাতে না হয়৷
এদিকে, রাজ্যের বিভিন্ন দপ্তরে ৩৮৭ টি নতুন পদ সৃষ্টি করার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা৷ মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে৷ বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী তপন চক্রবর্তী জানান, বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও পরিবেশ দপ্তরের দশটি পদ, শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরে ১৪৩টি পদ, আগরতলা সরকারি মেডিক্যাল কলেজের জন্য ৮৫টি ফ্যাকাল্টির পদ এবং খাদ্য ও জনসংভরণ দপ্তরের ২৮টি পদ সৃষ্টি করা হয়েছে৷ এদিন তিনি আরো জানান, বিশ্রামগঞ্জ, তেলিয়ামুড়া, কমলপুর এবং লংতরাইভ্যালিতে নতুন চারটি আইটিআই খোলা হবে৷ এই চারটি আইটিআইয়ের জন্য ১০৬টি পদ সৃষ্টি করা হয়েছে৷
এদিকে, চিকিৎসক এবং হাসপাতালের প্রশাসনিক স্তরের আধিকারিকদের দুই বছর পর্যন্ত পুনঃনিয়োগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য দপ্তরের হাতে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে৷ এদিন মন্ত্রিসভায় এইবিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে৷ তবে, দুই বছরের অধিক পুনঃনিয়োগের ক্ষেত্রে মন্ত্রিসভার অনুমোদন লাগবে বলে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন৷
2016-03-02