৩২ বছর পরিত্যক্ত থাকার পর পুনরায় কৈলাসহরের বিমান বন্দর চালু করার প্রক্রিয়া শুরু

কৈলাসহর, ২৬ মে : ত্রিপুরার ঊনকোটি জেলার অন্তর্গত কৈলাসহরের পরিত্যক্ত বিমানবন্দরকে পুনরায় চালুর উদ্যোগে নতুন গতি এসেছে। দীর্ঘ ৩২ বছর বন্ধ থাকার পর সম্প্রতি এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার (AAI) এক উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল এই বিমানবন্দর পরিদর্শন করেছেন। সোমবার, ২৬ মে তারিখে এ প্রতিনিধি দলের এই পরিদর্শন নতুন করে আশার সঞ্চার করেছে স্থানীয়দের মধ্যে।

উল্লেখ্য, কৈলাসহরের এই বিমানবন্দরটি একসময় সীমিত পরিসরে ব্যবহৃত হলেও পরবর্তীকালে বিভিন্ন কারণে তা সম্পূর্ণরূপে পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। এই দীর্ঘ সময়ে এলাকাবাসী ও বিভিন্ন রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সংগঠন একাধিকবার বিমানবন্দরটি পুনরায় চালুর দাবিতে আন্দোলনে শামিল হয়েছে। অবশেষে তাদের সেই দাবি বাস্তব রূপ পাওয়ার পথে।

পরিদর্শনকারী প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রিজিওনাল ডাইরেক্টর এম রাজকিশোর, আগরতলার মহারাজা বীর বিক্রম বিমানবন্দরের ডাইরেক্টর কৈলাস চন্দার মিনা, ঊনকোটি জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক এল ডার্লং, কৈলাসহরের মহকুমা শাসক প্রদীপ সরকার সহ অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকরা।

প্রতিনিধি দলটি বিমানবন্দরের পরিকাঠামো, জমির প্রাপ্যতা, দৃষ্টিসীমা ও অন্যান্য কারিগরি দিক নিয়ে প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ করেন। পরিদর্শন শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এম রাজকিশোর জানান, বিমানবন্দর পুনরায় চালু করার বিষয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে আলোচনার মাধ্যমে পরিকল্পনা নেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, ভবিষ্যতে কি ধরনের পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হবে, সে বিষয়েও মূল্যায়ন চলছে।

ত্রিপুরা রাজ্যে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সরকার ক্ষমতায় আসার আগেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে কৈলাসহরের বিমানবন্দর পুনরায় চালুর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। বর্তমানে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য উভয় সরকারই বিজেপির নেতৃত্বাধীন হওয়ায় নাগরিকদের মধ্যে আশাবাদ তৈরি হয়েছে যে, এবার হয়তো দাবি বাস্তবায়িত হবে।কৈলাসহর বিমানবন্দর চালু হলে তা কেবল ঊনকোটি জেলা নয়, পার্শ্ববর্তী আসাম রাজ্যের কাছাড় জেলার বাসিন্দারাও উপকৃত হবেন। এতে ঊনকোটি জেলা ও সংলগ্ন অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে, যার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে স্থানীয় অর্থনীতি ও পর্যটন শিল্পের ওপর।বহু প্রতীক্ষিত এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে তা হবে একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। স্থানীয় বাসিন্দারা এখন সরকারের কার্যকর উদ্যোগ ও দ্রুত বাস্তবায়নের অপেক্ষায় রয়েছেন।