ভারত-পাক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে মিজোরামের কোলাসিবে সিভিল ডিফেন্স নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক

কোলাসিব, ১১ মে: ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে মিজোরামের কোলাসিব জেলায় সিভিল ডিফেন্স অ্যাকশন প্ল্যান নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোলাসিব জেলা শাসকের কনফারেন্স হলে আয়োজিত এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন জেলা শাসক রবার্ট সি লালহমাঙ্গাইহা।

বৈঠকের শুরুতেই জেলা শাসক জানান, জেলা সিভিল ডিফেন্স অ্যাকশন প্ল্যান প্রস্তুত করাটা কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের অগ্রাধিকারের বিষয়। তিনি বলেন, “জাতীয় অগ্রাধিকারই রাজ্য ও জেলার অগ্রাধিকার।”

তিনি কোলাসিব জেলার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “আইজলের পর কোলাসিব রাজ্যের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ জেলা। ইতোমধ্যে জেলাটি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর তালিকা প্রধান সচিবের নির্দেশে প্রেরণ করেছে।”

তিনি সমস্ত সরকারি দপ্তর, বেসরকারি সংস্থা ও নাগরিক সমাজকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান এবং সামাজিক মাধ্যমে সেনা চলাচল সংক্রান্ত তথ্য না শেয়ার করার অনুরোধ করেন।

কোলাসিবের পুলিশ সুপার ডেভিড এইচ লালথাংলিয়ানা সভায় বলেন, “জেলা শান্তিপূর্ণ মনে হলেও ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। সিভিল ডিফেন্স অ্যাক্ট ১৯৬৮-এর বর্তমান প্রাসঙ্গিকতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সব নাগরিককে প্রস্তুত থাকতে হবে।”

জেলা কন্ট্রোল রুম জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখায় স্থাপন করা হবে। থানাগুলি সাবসিডিয়ারি কন্ট্রোল রুম হিসেবে কাজ করবে।

সিভিল ডিফেন্স অ্যাকশন প্ল্যান প্রস্তুতির মধ্য দিয়ে জেলা প্রশাসন পরিকল্পনার খসড়া তৈরি করবে। সকল সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করতে বলা হয়েছে।

জেলা পরিবহন কর্মকর্তাকে জেলার অন্তর্ভুক্ত সব যানবাহনের তালিকা তৈরি করে দিতে বলা হয়েছে, যাতে উদ্ধারকাজে ব্যবহারযোগ্য যানবাহন আলাদাভাবে চিহ্নিত করা যায়।

আগামী সোমবার রাতে কোলাসিব ও ভাইরেংতে একটি এয়ার রেইড মহড়া অনুষ্ঠিত হবে। সাইরেন বাজবে রাত ৮:৫৯-এ। ইনভার্টার ও সোলার লাইটসহ সব আলো বন্ধ রাখতে হবে। রাত ৯টা থেকে ৯:০৪ পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ থাকবে। স্থানীয় গ্রাম পরিষদ ও এনজিওগুলিকে এই বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে বলা হয়েছে। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকবে পুলিশ বিভাগ।

বৈঠকে কোলাসিবের জেলা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, পুলিশ, অতিরিক্ত জেলা শাসক, কাউন্টার ইন্সারজেন্সি অ্যান্ড জাঙ্গল ওয়ারফেয়ার স্কুল, এনএইচআইডিসিএল, রেল, নেপকো, মিজোফেড, বিভিন্ন অফিস প্রধান, এনজিও, গ্রাম পরিষদ প্রতিনিধি ও চার্চ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রশাসন নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং সকলের সহযোগিতা কামনা করেছে।