নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৫ জানুয়ারি৷৷ রাজ্যের সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে গাছ কেটে কাঠ পাচার অব্যাহত রয়েছে৷ এর ফলে সংরক্ষিত বনাঞ্চল ক্রমশ শূন্য হয় পড়তে শুরু করেছে৷ এর মারাত্মক প্রভাব পরিবেশের উপর পড়ার যথেষ্ট আশঙ্কা রয়েছে৷
উত্তর ত্রিপুরা জেলার বিভিন্ন সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে গাছ কেটে লক এবং কার্ড চোরাইপথে প্রতিবেশী রাজ্য অসম সহ অন্যান্য স্থানে পাচার হচ্ছে৷ বনদপ্তর এর কর্মীরা সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে গাছ কাটা বন্ধ করার জন্য নানা সময়ে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও কার্যত এসব পদক্ষেপ তেমন কোনো কাজে আসেনি৷ গত কয়েকদিনে উত্তর জেলায় প্রচুর পরিমাণ কাঠ এবং পাচারকালে গাছের লগ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে৷উত্তর ত্রিপুরা জেলার কাঞ্চনপুরের বনদপরের কর্মকর্তারা সুনির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে জয়শ্রী মালাকার বস্তি এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রচুর পরিমাণ কাঠ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন৷ ফরেস্টার বিব্রত মারাক ,বিশ্বজিৎ দাস ও সুব্রত জমাতিয়ার নেতৃত্বে বন দফতরের কর্মীরা গতরাতে জয়শ্রী মালাকার বস্তি এলাকায় হানা দিয়ে প্রায় ৫০ফুট সেগুন গাছের কাঠ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন৷ কাঠগুলি বাজেয়াপ্ত করে কাঞ্চনপুর বনদপ্তর এর অফিসে নিয়ে আসা হয়েছে৷
বন দপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন কাঞ্চনপুরের বিভিন্ন সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে গাছকেটে লগ এবং কাঠ পাচারের প্রবণতা বেড়ে চলেছে৷ বনদপ্তর এ ব্যাপারে কঠোর মনোভাব গ্রহণ করলেও বনদস্যুদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উঠতে সক্ষম হচ্ছে না৷দপ্তরের একটি সূত্রে জানা গেছে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মীর অভাব এই বনদপ্তর নিয়মিতভাবে বনাঞ্চলে টহল দিতে পারছে না৷সেই দুর্বলতার সুযোগে কাজে লাগিয়ে বনদস্যুরা বনাঞ্চল ধবংস করে গাছের লগ ও কাঠ পাচার অব্যাহত রেখেছে৷বিভিন্ন এলাকায় সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে গাছ কেটে স্থানীয়ভাবে ছোট আকারের সমিল বসিয়ে কাঠ চেরাই করা হচ্ছে বলে খবর মিলেছে৷এসব বিষয়ে বনদপ্তরের ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষ এবং দপ্তরের মন্ত্রী অবগত থাকলেও বাস্তব পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না বলে অভিযোগ৷মূল্যবান বনজ সম্পদ রক্ষার জন্য আরও অধিক সংখ্যক কর্মী নিয়োগ করা হলে পরিস্থিতি অনেকটাই সামাল দেওয়া সক্ষম হবে বলে বনদপ্তরের এক আধিকারিক অভিমত ব্যক্ত করেছেন৷বনজ সম্পদ রক্ষার নামে সরকারি কোষাগারের অর্থ খরচ করে প্রতিবছর বনমহোৎসব পালন করলেই প্রকৃত সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে না৷ বনজ সম্পদ রক্ষার জন্য সাধারণ মানুষকে সচেতন হওয়ার ওপরও গুরুত্ব দিতে হবে৷ শুধুমাত্র বনামো উৎসবের মাধ্যমে প্রচার চালালে জন সচেতনতা বাড়বে না৷ এজন্য বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি৷

