বেঙ্গালুরুর আকাশে সংঘর্ষ এড়ালো ইন্ডিগো বিমান সংস্থার দুটি বিমান

নয়াদিল্লি, ১২ জুলাই (হি.স.) : বেঙ্গালুরুর আকাশে কোনওমতে সংঘর্ষ এড়ালো ইন্ডিগো বিমান সংস্থার দুটি বিমান। একটুর জন্য বাঁচলেন ৩৩০ জন যাত্রী।
জানা গিয়েছে, গত ১০ জুলাই একটি বিমান কোয়েম্বাটুর থেকে হায়দরাবাদে যাচ্ছিল, অন্যটি যাচ্ছিল বেঙ্গালুরু থেকে কোচিন। হায়দরাবাদমুখী বিমানটিতে ১৬২ জন যাত্রী ছিলেন, অন্যটির যাত্রী সংখ্যা ১৬৬। জানা গিয়েছে, একটা সময় আকাশে দুটি বিমানের ওপর নীচ দূরত্ব প্রায় ২০০ ফুটের মতো হয়ে যায়। ট্রাফিক কলিশন অ্যাক্সিডেন্ট অ্যাভয়ডেন্স সিস্টেম বা টিসিএএস দ্রুত জরুরি সংকেত পাঠানোয় সংঘর্ষ এড়ানো সম্ভব হয়।
হঠাৎই দুই বিমানের পাইলট দেখতে পান তাঁরা একই উচ্চতায় উড়ছেন। ঘণ্টায় কয়েকশো কিলোমিটার বেগে একে অপরের দিকে এগিয়ে আসছিল বিমান দুটি। কয়েক মুহূর্তের মধ্যে ঘটে যেত বড় বিপদ। এয়ার ট্রাফিক কনট্রোলের তরফ থেকে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে৷ এই কারণেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়৷ কোয়েম্বাটোর–হায়দরাবাদগামী বিমানটিকে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল ৩৬,০০০ ফুট উচ্চতায় উড়তে।
অন্যদিকে বেঙ্গালুরু–কোচিনগামী বিমানটিকে বলা হয়েছিল ২৮,০০০ ফুট উচ্চতায় উড়তে। একটা সময়ের পর একটি বিমান উড়তে শুরু করে ২৭,৫০০ ফুট এবং ২৭,৩০০ ফুট উচ্চতায়। ককপিট অ্যালার্টের জেরেই এই দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে বলে ইন্ডিগোর তরফে জানানো হয়েছে। গোটা ঘটনাটি ইতিমধ্যেই অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রকে জানানো হয়েছে৷ তৈরি করা হয়েছে রিপোর্ট৷ সেই রিপোর্ট মন্ত্রকে জমা দিয়েছে ইন্ডিগো৷ এই ঘটনায় ইন্ডিগো কোনও তদন্ত করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। জানা গিয়েছে মাত্র আট কিলোমিটার দূরে থাকা অবস্থায় বিমান দুটি নিজেদের দিক পরিবর্তন করে৷ ডিজিসিএ-কে গোটা ঘটনা জানিয়েছে ইন্ডিগো৷ হায়দরাবাদের বিমানটিতে ১৬২টি জন যাত্রী ও অন্য বিমানটিতে ১৬৬ জন যাত্রী ছিলেন৷ সংবাদ সংস্থা পিটিআই বলছে ককপিটের অ্যালার্ম বেজে ওঠার পরেই সতর্ক হন পাইলটরা৷ পুরোটাই এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের গাফিলতি বলে দাবি করেছে বিমান সংস্থা। বিমান দুর্ঘটনা তদন্তকারী দল ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।