নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১ নভেম্বর৷৷ বুনিয়াদী স্তরের প্রশিক্ষণহীন শিক্ষকদের ডিএলএড কোর্সের জন্য অনলাইনে আবেদনের আরো একটি সুযোগ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ যাঁরা এখনো পর্যন্ত অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করেননি তাঁদেরকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত সুযোগ দেওয়া হয়েছে৷ এটা শেষ সুযোগ বলে মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে৷ এর পেছনে কারণ হল, বুনিয়াদীস্তরে সারা দেশে এমন অনেক প্রশিক্ষণহীন শিক্ষক রয়েছেন যাঁরা সময়মতো অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করতে পারেননি৷ ফলে, নিয়ম অনুযায়ী ২০১৯ সালের মার্চের পর তাদের চাকুরী বাতিল হয়ে যাবে৷ তাই, এই সুযোগ পুণরায় দেওয়া হয়েছে৷ বুধবার থেকেই এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে৷
অবাক করার বিষয় হল, রাজ্য সরকারের কাছে এসংক্রান্ত কোন তথ্য নেই৷ বুনিয়াদী শিক্ষা দপ্তরে এবিষয়ে যোগাযোগ করে জানা গেছে, এমন কোন নির্দেশিকা কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের কাছ মিলেনি৷ তাছাড়া মন্ত্রক কোন বিজ্ঞপ্তিও জারি করেনি৷ তাতে ধারণা করা হচ্ছে, এরাজ্যে যদি বুনিয়াদী স্তরের প্রশিক্ষণহীন কোন শিক্ষক-শিক্ষিকা সময়মতো অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করতে ব্যর্থ হয়ে থাকেন, তাহলে নতুন করে দেওয়া এই সুযোগ তারা কাজে লাগাতে পারবেন না৷
এর আগেও রেজিস্ট্রেশনের সময় বাড়িয়েছিল কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক৷ প্রথমে ১৪ আগস্ট থেকে ১৫ সেপ্ঢেম্বরের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন করে নেওয়ার জন্য বুনিয়াদী স্তরের সমস্ত প্রশিক্ষণহীন শিক্ষকদের নির্দেশ দেওয়া হয়৷ এরপর অনলাইন রেজিস্ট্রশনের সময়সীমা ৩০ সেপ্ঢেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়৷ জানা গেছে, ১ অক্টোবর থেকে এনআইওএস’র বিভিন্ন সেন্টারে পরীক্ষা দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে৷ নিয়মিত ক্লাশ করতে হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের৷ সরকারী এবং বেসরকারী সমস্ত বুনিয়াদী সুকলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের এক কোর্স বাধ্যতামূলক করেছে কেন্দ্র৷
নিয়ম অনুযায়ী যাঁরা মাধ্যমিক, কিংবা দ্বাদশমান উত্তীর্ণ হননি, তাঁদের এনআইওএস’র মাধ্যমে মাধ্যমিক এবং দ্বাদশ ৫০ শতাংশ নম্বর সহ পাশ করতে হবে৷ তারপর তাঁরা ডিএলএড কোর্স করতে পারবেন৷ আবার যাঁরা দ্বাদশ মান উত্তীর্ণ কিন্তু ৫০ শতাংশ নম্বর নেই, তাঁদেরও পুণরায় এনআইওএস’র মাধ্যমে পরীক্ষা দিয়ে দ্বাদশে ৫০ শতাংশ নম্বর সহ পাশ করতে হবে৷ এরপরই এই কোর্স করার সুযোগ পাওয়া যাবে৷ তবে, যাঁদের দ্বাদশ মানে ৫০ শতাংশ নম্বর রয়েছে তাঁরা সরাসরি এই কোর্সে ভর্তি হতে পারবেন৷
রাজ্যে বর্তমানে বুনিয়াদী স্তরে ৪ হাজার ৪০০ জন প্রশিক্ষণহীন শিক্ষক রয়েছেন৷ তাঁদের এই কোর্স করতে হবে৷ নইলে, ২০১৯ সালের মার্চ মাসের পর থেকে তাঁদের চাকুরী বাতিল হয়ে যাবে৷

