নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২০ অক্টোবর৷৷ শান্তিরবাজার মহকুমার আন্তর্গত বিএসএফ কেম্প সংলগ্ণ এলাকার বাসিন্দা বিরেন্দ্র চন্দ্র দাস এর কন্যা সঙ্গীতা দাসকে (২৪) বিলোনীয়া মহকুমার অন্তর্গত পাইখোলার বাসিন্দা কৃষ্ণ দাসের ছেলে বিমল দাস (২৯) এর সঙ্গে সারে তিনবছর আগে বিয়ে দেওয়া হয়৷ তাদের আরাই বছরের একটি ছেলে আছে৷ নাম প্রিয়াংশু দাস৷ বিরেন্দ্র চন্দ্র দাস অনেক ঘটা করে মা হারা কন্যা সঙ্গীতা দাসকে বিয়ে দেন৷ উনার আদরের মেয়েকে মনি নামে ডাকতো৷ বিয়েতে নগদ ৫০ হাজার টাকা, পালসার বাইক, ৮ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও যাবতীয় আসবাপপত্র দিয়ে বিয়ে দেন৷ সঙ্গীতার মা মারা যাবার পর ওর মায়ের সমস্ত অলঙ্কারও মেয়েকে দিয়ে যান বলে জানান সঙ্গীতার বাবা৷ সঙ্গীতার স্বামী বিমল দাস বর্তমানে বিএসএফ এ ৪০ নং বেটেলিয়ান এ কর্মরত৷ কাশ্মীরের বারামোল্লায় এখন সে কর্মরত আছে৷
সঙ্গীতার বাবার অভিযোগ বিয়ের পর থেকে ওর স্বামী শ্বশুর ও শাশুড়ি প্রতিনিয়ত বাপের বাড়ী থেকে টাকার জন্য দাবি করতো৷ সঙ্গীতার মা না থাকার কারনে ওর বৌদির কাছে ফোন করে ওর জমানো ব্যথাগুলি প্রকাশ করত৷ দিন দিন অত্যাচারের সীমা বেড়ে যাওয়ায় আত্মহত্যার পথ বেছে নিল সঙ্গীতা৷ মঙ্গলবার পাইখোলা শ্বশুর বাড়ীতে সে আত্মহত্যা করেছেন বলে কাশ্মীর থেকে জামাই ফোন করে জানায়৷ এই ব্যাপারে বুধবার সঙ্গীতার পরিবার থেকে বিলোনীয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন৷ পরিবারের লোকজনদের দাবি এই আত্মহত্যার পর পুলিশকে না জানিয়ে মৃতদেহ নামানো হলোও তাদের পরিবারের লোকজনেেদর খবর দেওয়া হয়নি৷ এটি একটি পরিকল্পীত হত্যাবলে মনে করছেন পরিবারের লোকজন৷ তাদের একটাই দাবি ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত হোক৷ প্রকৃত দোষী যেন উপযুক্ত শাস্তি পায়৷ এখন দেখার বিষয় সত্যঘটনা উদ্ঘাটনে পুলিশ কি প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করে৷
2017-10-21
