লক্ষ্মীপুজোয় অগ্ণিমূল্য বাজার দরে হাত পুড়ছে মধ্যবিত্ত গৃহস্থের

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩ অক্টোবর৷৷ বৃহস্পতিবার কোজাগরী লক্ষ্মীপূজো৷ হাত পুড়িয়েই কেনাকাটা সারছেন বাঙালি৷ তবে, সব কিছুকে উপেক্ষা করে লক্ষ্মীদেবীর আরাধনায় মেতে উঠতে কসুর করছে না পার্বতী ত্রিপুরা৷ বর্তমানে আপেলের দাম ছুঁয়েছে ১২০-১৫০ টাকা কিলো, মুসাম্বি ১৫-২৫ টাকা জোড়া৷ কলা ৫০ টাকা প্রতি ডজন৷ পানিফল ৮০ টাকা কিলো৷ পেয়ারা ৯০টাকা, ৪০-৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে নারকেল৷ গাঁদার মালার দাম ২০ টাকা থেকে বেড়ে ৩০-৪০ টাকায় দাঁড়িয়েছে৷ দোপাটি, অপরাজিতা, পদ্ম, রজনীগন্ধা সব ফুলের দাম শুনেই চোখ কপালে ওঠার জোগাড় হয়েছে সাধারণ গৃহস্থের৷ ফলের বাজার দলের পাশাপাশি আকাশ ছোঁয়া দাম ডালের৷ মুগ ডাল, মুসুর ডাল, বিউলির ডাল৷ কদিন আগে দুর্গা পুজোতেও যে শসা বিক্রি হয়েছে ৩০-৪০ টাকা কিলো দরে, তাই এখন দাঁড়িয়েছেন ৬০-৭০ টাকা৷ ভোগের সামগ্রীও অগ্ণিমূল্য৷ ফুলকপির খুচরো দর উঠেছে ৯০ টাকা৷ বাঁধাকপির দর উঠেছে ৫০-৬০ টাকা৷ বেগুনের কিলোও চলেছে ৫০-৬০ টাকা৷ খই ও মুড়কিরও দাম চড়েছে৷ সব মিলিয়ে অগ্ণিমূল্য বাজার দরে হাতে পুড়ছে মধ্যবিত্ত গৃহস্থের৷
এদিকে, প্রতিমা ও পূজোর অর্ঘ্য নিয়ে বাজার বসতেইঈ এক পসলা বৃষ্টিতে কপালে চিন্তার ভাজ বিক্রেতাদের৷ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রভাবে পূজোর বাজার প্রথম থেকেই মন্দার মুখে৷ লক্ষ্মী মূর্ত্তির চাহিদা থাকলেও যোগান কম বলে জানিয়েছেন মৃৎশিল্পীরা৷ প্রতিমা তৈরীর কাচামাল সংগ্রহ করতে বৃষ্টির মধ্যে হিমসিম খেতে হয়েছে শিল্পীদের৷ তাই মূর্ত্তির দাম অন্যান্য বছরের থেকে দ্বিগুন৷ গৃহস্থের পকেট ফাঁকা হচ্ছে গৃহস্থের৷ মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর বৃষ্টি থামায় রাজধানী আগরতলার বিভিন্ন বাজারে ক্রেতাদের সমাগম হয়েছে ভালই৷