গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা দুই সন্তানের জননীর

নিজস্ব প্রতিনিধি, চড়িলাম, ২ মে৷৷ বিশালগড় কদমতলী এলাকার জাহাঙ্গীর হোসেন পেশায় রাজমিস্ত্রি৷ তার স্ত্রী অঞ্জুয়ারা বেগম এবং দুই সন্তান নিয়ে সুখে শান্তিতে সংসার চল ছিল৷ হঠাৎ করে তাদের সংসারে এর মধ্যে শুরু হয় অশান্তি৷ এলাকাবাসী সূত্রে খবর দীর্ঘদিন ধরেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া চলছিল৷ আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি রবিবার সকালবেলা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়ার শুরু হয় এবং এক সময় স্ত্রী গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়৷ ঘটনাটি ঘটে সকাল আটটা নাগাদ৷ এলাকার লোকজন চিৎকার চেঁচামেচি শুনে গৃহবধূকে উদ্ধার করে বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে এবং তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে তাকে আগরতলা জিবিপি হাসপাতালে রেফার করে দেয়৷ জানা যায় তার শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গেছে৷ এদিকে এ ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসে গৃহবধূর বাপের বাড়ি লোকজন৷ এবং উত্তেজিত হয়ে গৃহবধূর স্বামী জাহাঙ্গীরের বাড়ি ভাঙচুর করে৷ এদিকে জানা যায় গৃহবধূর স্বামী বর্তমানে পলাতক৷ এই ঘটনায় কদমতলী এলাকায় জুড়ে তীব্র শোকের ছায়া নেমে আসে৷


বিশালগড় মহকুমাধীন কদমতলী এলাকায় স্বামী ও ননদ কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে হত্যার চেষ্টা করে মাঝ বয়সী মহিলাকে৷বর্তমানে অগ্ণিদগ্দ অবস্থায় গৃহবধূ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে৷ ১লা মে অগ্ণিদগ্দা গৃহবধূর বাবার বাড়িতে ছুটে যায় বিশালগড় মন্ডল মহিলা মোর্চার সভাপতি পিংকি মন্ডলের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল৷ উনারা কথা বলেন অগ্ণিদগ্দা গৃহবধূর অসহায় মাতা পিতা ও পরিবারের অন্যান্য ব্যক্তিদের সাথে৷ প্রতিনিধিদের দেখে গৃহবধূর মাতা-পিতা আত্মীয়-পরিজন কাঁদতে থাকে৷ তাদের কান্নারচিৎকারে উপস্থিতি প্রতিনিধি দলটি সমবেদনা জানান৷ যারা এসব কাজে লিপ্ত তারা সত্যি অপরাধী, উনারা কোনমতে ছাড়া পাবেনা, আইনিভাবে পুলিশ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করবে এবং অপরাধীদের প্রচন্ড শাস্তি প্রদান করবে বলে আশ্বস্ত করে অগ্ণিদগ্দা গৃহবধূর পিতার বাড়ির লোকজনদের৷