নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৫ মার্চ৷৷ স্ত্রী ও নয় মাসের শিশু সন্তানকে অগ্ণিদগ্দ করে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত রতন দাসকে তিনটি ধারায় মোট তেইশ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে ফাস্ট ট্র্যাক আদালত৷ ৩০ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে৷
২০১৫ সালের ১২জুন রাজধানী আগরতলা শহর সংলগ্ণ বাধারঘাট মাতৃ পল্লী এলাকায় হৃদয়বিদারক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল৷ অগ্ণিদগ্দ করে হত্যা করা হয়েছিল গৃহবধূ সুপ্রিয়া বিশ্বাস এবং তার ৯ বছরের শিশু পুত্রকে৷ এ ব্যাপারে আগরতলা পশ্চিম থানায় মামলা গৃহীত হয়৷ মামলার তদন্তকারী পুলিশ অফিসার তদন্তক্রমে আদালতে চার্জশিট জমা দেন৷ আদালত এই মামলায় অভিশপ্ত স্বামী রতন দাসকে দোষী সাব্যস্ত করে৷ সোমবার এই মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেন ফাস্ট ট্রাক আদালতের মাননীয় বিচারক ধীমান দেববর্মা৷
ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮ নং ধারায় দোষী সাব্যস্ত রতন দাসকে তিন বছরের কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেন৷ তিন মাসের মধ্যে জরিমানার টাকা মিটিয়ে দিতে বলা হয়েছে৷ ৩০৪(বি) ধারায় ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৩০৬ আইপিসিতে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২৫ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ জরিমানার টাকা ছয় মাসের মধ্যে মিটিয়ে দিতে বলা হয়েছে৷ দুটি ধারায় ৩০ হাজার জরিমানার টাকা মৃত সুপ্রিয়া বিশ্বাস এর বাবা সুনীল বিশ্বাস এর হাতে তুলে দিতে বলেছে আদালত৷
শাস্তি ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন মৃত সুপ্রিয়া বিশ্বাস এর বাবা সুনীল বিশ্বাস সহ অন্যান্য আত্মীয়-পরিজনরা৷ মৃতার বাবা আদালতের রায়ে সন্তুষ্ট ব্যক্ত করেছেন৷ তিনি বলেন মানুষ রুপি জানোয়ার তার জামাতা রতন দাস এর যে শাস্ত্র করা হয়েছে তাতে নিশ্চয়ই খুশি৷তবে এই মামলায় রতন বিশ্বাসের মা এবং যে মহিলার সঙ্গে তার অবৈধ সম্পর্ক ছিল তাদের শাস্তি হলে তিনি আরো খুশি হতেন বলে জানান৷ হৃদয়বিদারক হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন আদালতের বিচারক ধীমান দেববর্মা৷ সরকার পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অরবিন্দ দেব৷