দেহরাদূন ও চামোলি, ৮ ফেব্রুয়ারি (হি.স.): দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত, এখনও খোঁজ পাওয়া যায়নি দ্বিতীয় সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের। পাথর ও ধ্বংসাবশেষের জন্য বড় সুড়ঙ্গ অবরুদ্ধ হয়ে গিয়েছে। জেসিবি মেশিনের সাহায্যে পরিষ্কার করার কাজ চলছে। একটি সুড়ঙ্গ থেকে শ্রমিকদের উদ্ধার করা গেলেও, বাকি সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের সঙ্গে এখনও যোগাযোগই করা সম্ভব হয়নি। সোমবার সকালে আইটিবিপি, দেহরাদূন (ডিআইজি সেক্টর হেড কোয়ার্টার) অপর্ণা কুমার জানিয়েছেন, ধ্বংসাবশেষের জন্য বড় সুড়ঙ্গ অবরুদ্ধ হয়ে গিয়েছে। জেসিবি মেশিনের সাহায্যে পরিষ্কার করার কাজ চলছে। এই সুড়ঙ্গ প্রায় ১৮০ মিটার লম্বা এবং রবিবার থেকে ৩০-৪০ জন কর্মী আটকে পড়েছেন। তাঁদের উদ্ধার করার কাজ চলছে।
উত্তরাখণ্ডের ডিজিপি অশোক কুমার জানিয়েছেন, আতঙ্ক ছড়ানোর কোনও কারণ নেই। রবিবার হিমবাহ ফেটে যাওয়ার কারণে পাথর, ধ্বংসাবশেষ জলোচ্ছ্বাসের জেরে রেনি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যা হওয়ার রবিবারই হয়েছে। প্রথম প্রোজেক্ট থেকে ৩২ জন নিখোঁজ হয়ে যান এবং দ্বিতীয় প্রোজেক্ট থেকে ১২১ জন। রবিবার তপোবনের ছোট সুড়ঙ্গ থেকে ১২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। বড় সুড়ঙ্গে উদ্ধারকাজ চালানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। উদ্ধার হওয়া দেহগুলির মধ্যে তপোবন থেকে তিনটি এবং কর্ণপ্রয়াগ রুটে সাতটি দেহ উদ্ধার হয়েছে। চামোলি পুলিশের পক্ষ থেকে সোমবার সকালে জানানো হয়েছে, সুড়ঙ্গে আটকে থাকা মানুষজনকে উদ্ধারের কাজ চলছে। জেসিবি মেশিনের সাহায্যে সুড়ঙ্গ পরিষ্কারের কাজ চলছে। ইতিমধ্যেই ১৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং বিভিন্ন স্থান থেকে ১৪ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
উত্তরাখণ্ডের জোশীমঠের কাছে ধউলিগঙ্গাতে হিমবাহ ফেটে তীব্র জলোচ্ছ্বাসের জেরে রবিবার ভেসে গিয়েছে একের পর এক গ্রাম। রেনি গ্রামে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প-সহ ওই এলাকার ৪টি ‘ঝুলা পুল’ অর্থাৎ ঝুলন্ত সেতু ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে। উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে এখন অবধি প্রাণ গিয়েছে ১৪ জনের। নিখোঁজ বহু মানুষ। ফলে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।