নয়াদিল্লি, ২ সেপ্টেম্বর (হি.স.): কোভিড-১৯ পরিস্থিতি, লাদাখ সীমান্তে চিনের আগ্রাসন-এমনই একাধিক বিষয়ে বহু প্রশ্ন রয়েছে বিরোধীদের। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেমে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর জানতে উদগ্রীব বিরোধীরা। সেই পরিস্থিতিতেই সংসদে বাদল অধিবেশন শুরু হতে চলেছে। কিন্তু, বাদল অধিবেশনে প্রশ্নোত্তরের জন্য বরাদ্দ সময় বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ মোদী সরকারকে প্রশ্ন করার কোনও সুযোগ পাবেন না বিরোধীরা। আর তাতেই গর্জে উঠল কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস-সহ বিভিন্ন দল।
কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং সম্প্রতি ফোন করে সমস্ত সাংসদকে জানিয়েছেন, বাদল অধিবেশনে কোনও প্রশ্নোত্তর পর্ব থাকছে না। কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রশ্নোত্তর পর্ব থাকলে, যে মন্ত্রীকে প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে, তাঁর পরামর্শদাতা আধিকারিকদেরও সংসদে উপস্থিত থাকতে হয়। তাতে সংসদ ভবনে লোকসংখ্যা অনেক বেড়ে যাবে, করোনা পরিস্থিতিতে যা একেবারেই কাম্য নয়। প্রশ্নোত্তর পর্ব বাতিল করা হলেও, জিরো আওয়ার থাকবে বলে বিরোধী নেতাদের আশ্বস্ত করেন রাজনাথ।
কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। তাঁর মতে, গণতন্ত্রকে হত্যা করা হচ্ছে। বুধবার টুইটারে ডেরেক লেখেন, ‘‘প্রশ্নোত্তর পর্বের জন্য ১৫ দিন আগে থেকে প্রশ্ন জমা দিয়ে রাখতে হয় সাংসদদের। ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে অধিবেশন শুরু হচ্ছে, অথচ সেই প্রশ্নোত্তর পর্বই বাতিল? বিরোধীদের কাছ থেকে সরকারকে প্রশ্ন করার অধিকারই কেড়ে নেওয়া হল।’ কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর জানান, ‘‘চার মাস আগেই বলেছিলাম, মহামারিকে অজুহাত বানিয়ে গণতন্ত্র ও বিরোধী কণ্ঠস্বর রোধ করবেন শক্তিশালী নেতারা। এমনিতেই দেরিতে অধিবেশন শুরু হচ্ছে। তার উপর বিনয়ের সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হল, প্রশ্নোত্তর পর্বই থাকবে না।”