আগরতলা, ৫ আগস্ট (হি.স.)৷৷ নদীপথে বাংলাদেশ থেকে ত্রিপুরায় পণ্য আমদানি-রফতানির দ্বার খুলতে চলেছে৷ চলতি মাসেই দাউদকান্দি থেকে সোনামুড়া পর্যন্ত ছোট ভেসেল (জলযান)-এ পরীক্ষামূলক পণ্য আমদানির চেষ্টা চলছে৷ সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সংস্থা ওই নদীপথে পণ্য রফতানির সমীক্ষা করেছে৷ তাতে পরীক্ষামূলক পণ্য আমদানিতে ইন্দো-বাংলা উভয় পক্ষ ঐকমত্যে পৌঁছেছে৷ মঙ্গলবার ভিডিও কনফারেন্সে (ওয়েবিনার) এ-বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ত্রিপুরা মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তুষার চক্রবর্তী৷
ভারতের অভ্যন্তরীণ নৌপথ কর্তৃপক্ষ ওই ওয়েবিনারের আয়োজন করেছিল৷ এতে অংশ নিয়েছিলেন, পিডব্লিউসি সহকারী অধিকর্তা শ্রুতি আরোরা, ভারতের অভ্যন্তরীণ নৌপথ কর্তৃপক্ষ (আইডাব্লিউএআই)-এর চেয়ারপারসন ড় অমিতা প্রসাদ, কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের লজিস্টিকস বিভাগের প্রাক্তন বিশেষ সচিব এন শিভাসাইলাম, কেন্দ্রীয় জাহাজ মন্ত্রকের সিনিয়র অর্থনৈতিক উপদেষ্টা রজত সাচার, কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দফতরের অতিরিক্ত সচিব ড় অলকা ভার্গব, ঢাকাস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলি দাস, পূবর্োত্তর বিভাগের কাস্টম কমিশনার জিএম কামেল, আইডব্লিউএআই সদস্য শশীভূষণ শুক্লা, ত্রিপুরা সরকারের শিল্প ও বাণিজ্য দফতরের সচিব কিরেণ গিত্তে, বাংলাদেশের বিআইডাব্লিউটিএ-র চেয়ারম্যান গোলাম সাদেক, ইন্দো-বাংলা চেম্বার অব কমার্সের চেয়ারম্যান আব্দুল মতলব আহমেদ, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার সিমেন্টের সিওও তারিক কমল এবং ত্রিপুরা মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তুষার চক্রবর্তী৷ ভারতীয় সময় বেলা তিনটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ তাতে, প্রত্যেকেই বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছেন৷
তুষারবাবু জানিয়েছেন, দাউদকান্দি-সোনামুড়া নদীপথে পণ্য আমদানি-রফতানির জন্য প্রযুক্তিগত, বাণিজ্যিক, নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক এবং পদ্ধতিগত বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে৷ সমস্যা সমাধানে দুই দেশ ঐকমত্যে পৌঁছেছে৷ তিনি বলেন, ৯৩ কিমি দীর্ঘ নদীপথে পণ্য আমদানিতে সময় এবং আর্থিকভাবে ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন৷ তাঁর কথায়, ওই নদীপথে ছোট ভেসেলে ৫০ থেকে ১০০ টন পণ্য আমদানি সম্ভব হবে৷ এতে বছরে ৭/৮ মাস অনায়াসে পণ্য আমদানি করা যাবে৷ শুধুমাত্র শুখা মরশুমে নদী খননের উদ্যোগ নিতে হবে৷ সে-বিষয়ে উভয় দেশ সম্মত হয়েছে৷
তিনি বলেন, ছোট ভেসেলে পণ্য আমদানিতে বড় ব্যবসায়ীদের সাথে ছোট ব্যবসায়ীরাও উপকৃত হবেন৷ কারণ, প্রয়োজনে ছোট ব্যবসায়ীরাও পণ্য আমদানি করতে পারবেন৷ তাঁর বক্তব্য, ইতিমধ্যে ওই নদীপথে পণ্য আমদানি-রফতানির জন্য বাংলাদেশি বাণিজ্যিক সংস্থা সমীক্ষা করেছে৷ ফলে উভয় পক্ষই চাইছে চলতি মাসেই পরীক্ষামূলক পণ্য আমদানি হোক৷ সেই চেষ্টাই চলছে বলে বৈঠকে আশ্বস্থ করা হয়েছে৷
এদিকে, আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে ওই বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে৷ তুষারবাবু বলেন, বিভিন্ন পণ্যে বিধিনিষেধ রয়েছে, কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থা ইত্যাদি বিষয়ে সমাধানের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের পদস্থ আধিকারিকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে৷ সমস্যা সমাধানে কেন্দ্রীয় সরকার আন্তরিকতার সাথে বিবেচনা করবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে৷

