রাজ্যে করোনায় মৃত্যু আরও চারজনের

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৭ জুলাই৷৷ করোনা-আক্রান্ত আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে ত্রিপুরায়৷ এযাবৎকালের মধ্যে আজ একদিনে সর্বাধিক করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে৷ তবে, ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ এই পরিস্থিতি ত্রিপুরাবাসীকে আরও আতঙ্কে ফেলেছে৷ শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ এই মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন৷ এ নিয়ে ত্রিপুরায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭৷


সোমবার সন্ধ্যায় মন্ত্রী বলেন, আজ জিবি-র কোভিড হাসপাতালে চারজনের মৃত্যু হয়েছে৷ তিনি জানান, গোমতি জেলার শান্তিপলি এলাকার বাসিন্দা মিণ্টুচন্দ্র সাহা (৮৪) আজ প্রথমে মারা যান৷ তিনি গত ২৩ জুলাই শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন৷ আজ দুপুর দেড়টা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়েছে৷

শিক্ষামন্ত্রী আরও জানান, গোমতি জেলার রাজারবাগ এলাকার বাসিন্দা নারায়ণচন্দ্র দেব (৭৫) আজ করোনা যুদ্ধে হেরে গেছেন৷ তিনি মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত সমস্যা নিয়ে গত ২৫ জুলাই ভরতি হয়েছিলেন৷ কিন্তু চিকিৎসকদের সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে আজ তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন৷
তৃতীয় করোনা আক্রান্ত দক্ষিণ জেলায় জোলাইবাড়ির বাসিন্দা পুলিন মজুমদারের (৭০) আজ মৃত্যু হয়েছে৷ তিনিও শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে গত ২৬ জুলাই ভরতি হয়েছিলেন৷ চতুর্থ করোনা আক্রান্ত সিপাহিজলা জেলার মেলাঘরের জনৈক ব্যক্তি আজ মারা গেছেন৷ তিনিও শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে গত ২৬ জুলাই ভরতি হয়েছিলেন বলে জানান রতনলাল নাথ৷


এদিকে, সোমবার রাতে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্যুইট করে জানিয়েছেন, এদিন নতুন করে আরও ১৪৭ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন৷ এদিন মোট ৪০২৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল৷ তাতে ১৪৭ জনের কোভিড-১৯ রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে৷

তিনি জানিয়েছেন, আক্রান্ত ১৪৭ জনের মধ্যে পশ্চিম জেলায় ৪০ জন, সিপাহীজলা জেলায় ৪১ জন, গোমতী জেলায় ২২ জন, খোয়াই জেলায় ১২ জন, উত্তর ত্রিপুরা জেলায় ১৮ জন, ঊনকোটি জেলায় ২ জন, ধলাই জেলায় ৯ জন এবং দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলায় ৩ জন৷ অন্যদিকে, এদিন বিভিন্ন কোভিড কেয়ার সেন্টার থেকে সুস্থ হয়ে গেছেন ৯৩ জন৷