নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৩ জুলাই৷৷ রাজ্যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে৷ এ নিয়ে ত্রিপুরায় করোনা সংক্রমিত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০-এ৷ অদিকে, বৃহস্পতিবার নতুন করে আরও ২০৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব৷ তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্যুইট করে জানিয়েছেন, এদিন ৪৪৭৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে৷ তাতে ২০৬ জনের কোভিড-১৯ রিপোর্ট পজেটিভ আসে৷
তিনি আরও জানিয়েছেন, এই ২০৬ জনের মধ্যে এন্টিজেন টেস্টে পাওয়া গিয়েছে ১৩৬ জন৷ বিমানযাত্রী ৭ জন, কনটেইনমেন্ট জোনে ৫ জন, সংস্পর্শে ৪২ জন, উপসর্গে ৯ জন এবং বাইরে থেকে ভ্রমণ করে আসা ৭ জন৷ তাছাড়া এই ২০৬ জনের মধ্যে জেলা ভিত্তিক হিসেবে দেখা গিয়েছে, পশ্চিম জেলায় ৩৩ জন, উত্তর জেলায় ২৭ জন, গোমতী জেলায় ৪৬ জন, ধলাই জেলায় ১০ জন, দক্ষিণ জেলায় ২০ জন, সিপাহীজলা জেলায় ৬১ জন, খোয়াই জেলায় ৮ জন এবং ঊনকোটি জেলায় ১ জন৷
বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার পূর্ব মির্জার বাসিন্দা ৭০ বছর বয়সি জনৈক ব্যক্তির করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে৷ তিনি গত ১৭ জুলাই আগরতলার জিবি হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের পুরুষ ওয়ার্ডে ভরতি হয়েছিলেন৷ পরবর্তীতে তাঁর কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা হয়েছিল৷ তাতে তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসে৷ সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে কোভিড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়৷
স্বাস্থ্য দফতরের জনৈক পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তির শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল৷ গতকাল গভীর রাতে কোভিড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে৷
রাজ্যে আগামী ২৭ জলাই সোমবার থেকে ব্যাপকভাবে কোভিড-১৯ টেস্ট প্রক্রিয়ার সার্ভে শুরু হবে৷ এক্ষেত্রে প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে কারোর কোন ধরণের উপসর্গ আছে কিনা পর্যবেক্ষণ করা হবে৷ যদি দেখা যায় কারোর কোন উপসর্গ রয়েছে সঙ্গে সঙ্গে তার নমুনা সংগ্রহ করা হবে এবং পরীক্ষা করা হবে৷ আজ সন্ধ্যায় মহাকরণের প্রেস কনফারেন্স হলে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এই সংবাদ জানান শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ৷ তিনি আরও জানান, রাজ্যে এখন পর্যন্ত ১০ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে৷ তিনি জানান, এক্ষেত্রে যাদেরই মৃত্যু হয়েছে তাদের বেশিরভাগেরই বয়স বেশি এবং ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি রোগে ভুগছিলেন৷
শিক্ষামন্ত্রী আরও জানান, রাজ্যে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় কোভিড কোর গ্রপ, স্ট্রেটেজি কমিটি এবং টেকনিক্যাল কমিটি রয়েছে৷ এই তিনটি কমিটি থেকে পরামর্শ নিয়েই রাজ্য সরকার বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে এবং ভবিষ্যতেও এই ৩টি কমিটির পরামর্শ অনুসারে রাজ্য সরকার প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে বলে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান৷