লকডাউনের জেরে গৃহপালিত প্রাণীর খাদ্যসংকট, দুধ বিপণনে সমস্যা, উপায় খুঁজছে রাজ্য

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৮মার্চ৷৷ ত্রিপুরায় গৃহপালিত প্রাণীর খাবার নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে৷ সরকারের কাছে মাস দেড়েকের এবং বাজারে সবর্োচ্চ ২০ দিনের গৃহপালিত প্রাণীদের জন্য খাবার মজুত রয়েছে৷ ফলে, ত্রিপুরার সরকার এ-নিয়ে ভীষণ চিন্তায় পড়েছে৷ করোনা ভাইরাসের আতঙ্কেই ওই সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে দফতরের জনৈক আধিকারিক জানিয়েছেন৷ এছাড়া, দুধ সংগ্রহে কোনও সমস্যা হচ্ছে না ঠিকই, কিন্তু বিপণনের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন৷


শনিবার সচিবালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে প্রাণী বিকাশ দফতরের আধিকারিক বলেন, সম্প্রতি মুরগির মাংস বিক্রির ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিয়েছিল৷ কারণ, মুরগিতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রয়েছে, ওই গুজব ছড়ানোর ফলে মাংস বিক্রিতে মারাত্মক প্রভাব পড়েছে৷ তাই, মানুষকে এ-বিষয়ে সচেতন করা হয়েছে৷ তিনি বলেন, মুরগির মাংসে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নেই৷ এদিন তিনি বলেন, বর্তমানে গৃহপালিত প্রাণীর খাবার সরবরাহ নিয়ে সবচেয়ে বেশি সমস্যা দেখা দিয়েছে৷ কারণ, সরকারের কাছে দেড় মাসের এবং বাজারে ২০ দিনের গৃহপালিত প্রাণীর জন্য খাবার মজুত রয়েছে৷ কিন্তু, নতুন করে ওই খাবার বাইরে থেকে আনা সম্ভব হচ্ছে না৷ তিনি আক্ষেপ করে বলেন, গাড়ির চালকরা আসতে চাইছেন না৷ ফলে, বাইরে থেকে খাবার আনা যাচ্ছে না৷


এদিন তিনি আরও বলেন, দুধ সংগ্রহে কোনও সমস্যা হচ্ছে না৷ কিন্তু, বিপণনে মারাত্মক সমস্যা দেখা দিয়েছে৷ এ-বিষয়ে দুধের ডেয়ারির কর্মকর্তারা বলেন, আগরতলা শহরে ৩০০ এজেন্ট দুধ বিক্রি করেন৷ কিন্তু, লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে ওই বিক্রেতারা দুধ বিক্রি করতে পারছেন না৷ তাতে, বিপণন ৫০ শতাংশ নেমে গেছে৷ তাঁর দাবি, প্রতিদিন ১২ হাজার লিটার দুধের চাহিদা ছিল৷ এখন তা নেমে হয়েছে ৬ হাজার লিটারের কাছাকাছি৷ তিনি বলেন, গতকাল ৬২২৮ লিটার দুধ বিক্রি হয়েছে৷

তাঁর বক্তব্য সারা রাজ্যে ১১৯টি সমবায় সমিতির মাধ্যমে দুধ সংগ্রহ করা হয়৷ সে-ক্ষেত্রে দুধ সংগ্রহে কোনও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়নি৷ চাহিদা কমে যাওয়ায় দুধ সংগ্রহ বাধ্য হয়ে কম করতে হয়েছে৷ ওই সমস্যা সমাধানে রাস্তা খোঁজা হচ্ছে৷ দুয়েক দিনের মধ্যে পথ বের হবে বলে তাঁরা আশা প্রকাশ করেছেন৷ কারণ, করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় পুষ্টিকর খাবার খাওয়া খুবই জরুরি৷ সেক্ষেত্রে দুধের কোনও বিকল্প হয় না৷