আগরতলা, ১৩ ফেব্রুয়ারী (হিঃসঃ)৷৷ এক-দুটি নয়, ছয়টি অজগর ধরে খোলাবাজারে কেটে বিক্রি এবং ভক্ষণের ঘটনায় তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে৷ পুলিশ তাদের খুঁজে তল্লাশি চালিয়েছে, জানালেন উত্তর ত্রিপুরার ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার (ডিএফও) ড় নরেশবাবু এন৷ তাঁর দাবি, প্রত্যন্ত এলাকায় সংঘটিত ওই ঘটনায় দোষীদের পুলিশ খুঁজে পাচ্ছে না৷ তারা গা ঢাকা দিয়েছে৷
প্রসঙ্গত, উত্তর ত্রিপুরা জেলার কাঞ্চনপুর মহকুমার জম্পুই-এর সিমলং এলাকায় ছয়টি অজগর কেটে খোলা বাজারে বিক্রির ভিডিও এবং ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে৷ কারণ ওই ভিডিওয় দাবি করা হয়েছে, অজগরের মাংস কেজি প্রতি ১,০০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে৷ সে-মোতাবেক ১ কুইন্টাল ৫০ কেজি অজগরের মাংস বিক্রি হয়েছে৷ সিমলং এলাকাটি মিজোরাম সীমান্ত লাগোয়া হওয়ায় বিভিন্ন জীব-জন্তুর মাংস বিক্রি এবং পাচারের ঘটনা প্রায়ই প্রকাশ্যে আসে৷ প্রসঙ্গত সম্প্রতি কাঞ্চনপুর মহকুমায় মিজোরামে পাচারের জন্য বহুসংখ্যক সারমেয় নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের জালে ধরা পড়েছিল৷
উত্তর ত্রিপুরার ডিএফও-র কথায়, অজগরের মাংস বিক্রির ছবি ও ভিডিও আমরা খতিয়ে দেখেছি৷ ওই ভিডিও-র ফুটেজ দেখে তিনজনকে চিহ্ণিত করা হয়েছে৷ তিনি বলেন, বলিজয় রিয়াং, পর্বজয় রিয়াং এবং অসি চন্দ্র রিয়াং-র বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে৷ তিনি বলেন, ওয়াইল্ড লাইফ প্রটেকশন অ্যাক্ট-এর ধারা ৪ এবং ডিস্ট্রাকশন অব পাবলিক প্রপার্টি অ্যাক্ট-এর নির্দিষ্ট ধারায় ওই তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে৷ তারা কাঠালবাড়ি এলাকার বাসিন্দা৷ তাঁর দাবি, বিক্রেতার পাশাপাশি অজগরের মাংসের ক্রেতাদেরও খোঁজা হচ্ছে৷ কারণ, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের অধীনে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই অপরাধী৷
তিনি বলেন, সিমলং এলাকা ত্রিপুরার প্রত্যন্ত গ্রাম৷ মিজোরামের সীমান্ত লাগোয়া হওয়ায় সেখানে প্রতিনিয়ত নজরদারি রাখা কিছুটা মুশকিল৷ তাছাড়া, ওই অজগরের মাংস কোনও বাজারে বিক্রি হয়নি৷ তাঁর দাবি, ঘটনার পর থেকে ওই তিন অভিযুক্ত গা ঢাকা দিয়েছে৷ গ্রামবাসীরাও তাদের খুঁজে পেতে সহযোগিতা করছেন না৷ তবে ওই ভিডিওটি কে বানিয়েছিল তাকেও খোঁজা হচ্ছে৷ তাঁর সাফ কথা, বন্যপ্রাণীদের সাথে এমন নিষ্ঠুর আচরণ কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না৷ তবে এ ধরনের ঘটনা এড়ানোর জন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধির প্রতিও বিশেষ নজর দেব আমরা৷