নিজস্ব প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া, ২৮ জানুয়ারি ৷৷ তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে বহু প্রতিক্ষিত ইউএসজি এক্সরে, ইসিজি, শিশু বিভাগ এবং নবনির্মিত ইমার্জেন্সি বিভাগের আনুষ্ঠানিক দ্বারোদ্ঘাটন হল মঙ্গলবার৷ বিধানসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণী রায় আনুষ্ঠানিকভাবে দ্বারোদ্ঘাটন করেন৷
তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে আল্ট্রা সনোগ্রাফি, এক্সরে, ইসিজি মেশিন সহ শিশু ওয়ার্ডের উদ্বোধন হল মঙ্গলবার৷ প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে উদ্বোধন করেন রাজ্য বিধানসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণী রায়৷ এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, কৃষ্ণপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক চিকিৎসক অতুল দেববর্মা, কল্যাণপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক পিনাকি দাস চৌধুরী, তেলিয়ামুড়া মহকুমা শাসক ভাস্বর ভট্টাচার্য, খোয়াই জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিক নির্মল সরকার, রাজ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা শুভাশিস দেববর্মা, তেলিয়ামুড়া পুরপিতা নীতিন কুমার সাহা, তেলিয়ামুড়া মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক চিকিৎসক চন্দন দেববর্মা, তেলিয়ামুড়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান যমুনা দাস সহ অন্যান্যরা৷ পরে এই আনন্দঘন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে খোয়াই জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক নির্মল সরকার বলেন, তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালের আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা আরও সম্প্রসারিত হল৷ অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপনের ফলে রোগ নির্ণয়ের সুযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে৷ এর ফলে চিকিৎসকরাও রোগ নির্ণয়ের পর সঠিক চিকিৎসা প্রদানে সমর্থ হবেন৷ প্রত্যেক চিকিৎসক ও অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্মীদের নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি৷
চিকিৎসা শাস্ত্রে সনোগ্রাফি, এক্সরে, ইসিজি মেশিনগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ সঠিক ডায়াগনোসিসের ক্ষেত্রে ওই মেশিনগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ এলাকার সাধারণ মানুষজনদের চিকিৎসার কথা উপলব্ধি করে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে এসব মেশিন বসানোর উদ্যোগ নিয়েছিল, যা আজ উদ্বোধন হয়৷ অপরদিকে এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধক তথা রাজ্য বিধানসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণী রায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবার নবদিগন্তের সূচনা হল৷ আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার সুযোগ গ্রহণ করতে তিনি মহকুমার সমস্ত জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন৷ তিনি চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আন্তরিকতার সঙ্গে রোগী ও তাদের পরিবারের লোকজনদেরকে পরিষেবা দিতে হবে৷
শুধু তাই নয় সহমর্মিতা নিয়ে কাজ করতে হবে৷ স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে চিকিৎসার পাশাপাশি রোগীরও তার পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা খুবই জরুরি বলেও তিনি উল্লেখ করেন৷ এই মানসিকতায় প্রস্তুত হতে তিনি চিকিৎসা পরিষেবায় যুক্ত প্রত্যেকের তিনি আবেদন জানান৷ বিধানসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণী রায় আরও বলেন, তেলিয়ামুড়া হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়নে আরও বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে৷ মহকুমার রোগীরা যাতে এখানেই উন্নতমানের সব পরিষেবা পেতে পারেন সেই লক্ষ্যেই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে৷ তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবার উন্নতি ঘটলে রোগীদের আগরতলামুখী হতে হবে না৷ এর ফলে একদিকে যেমন রোগীদের আর্থিক চাপ কমবে ঠিক তেমনি জিবি হাসপাতালের উপর রোগীর চাপ কমবে বলে আশা ব্যক্ত করেন বিধানসভার মুখ্য সচেতক৷
হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা নিতে আসেন অসুস্থ মানুষজন৷ তাই অধুনা চিকিৎসা ব্যবস্থার সুযোগ পেতে অধুনা ব্যবস্থা করা হল৷ তিনি চিকিৎসকদের পরামর্শ দেন যাতে অসুস্থ হয়ে আসা মানুষজনদের সঠিক চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয়৷ এছাড়াও তিনি বলেন,রাজ্য সরকার প্রতিটি জেলা ও মহকুমা হাসপাতালকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে৷ এতে রাজ্যের প্রধান রেফারেল হাসপাতাল জিবি হাসপাতালের উপরও চাপ কমবে৷