নয়াদিল্লি, ২২ জানুয়ারি (হি.স.) : জওহরলাল নেহেরু এবং মহম্মদ আলি জিন্নার কায়েমি স্বার্থের জন্য ভারত দ্বিখণ্ডিত হয়েছিল বলে অভিযোগ তুললেন বিজেপি মুখপাত্র সম্বিত পাত্র। পাশাপাশি সিএএ বিরোধী প্রচার চালিয়ে কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলি আদতে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের অপমান করে চলেছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
বুধবার রাজধানী দিল্লিতে দলের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সম্বিত পাত্র দাবি করেন, দুই ব্যক্তির কায়েমি স্বার্থের জন্য দেশভাগ হয়েছে। প্রথমজন হলেন জিন্না। যিনি বিপুল ক্ষমতা পেতে চেয়েছিলেন। আর দ্বিতীয়জনের হলেন পন্ডিত জওহরলাল নেহেরু। মহাত্মা গান্ধী বলেছিলেন যে, তাঁর মৃতদেহের উপর দিয়ে দেশভাগ হবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লোভে তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে দেশভাগ করে বসলেন নেহেরু। নিজের স্বার্থকে সর্বাগ্রে রেখে দেশের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়েছিলেন তিনি। নেহেরু এবং জিন্নার এই দায় কেউ আড়াল করতে পারবে না। ধর্মের কারণে দেশভাগ করার জন্য নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন জরুরি হয়ে পড়েছে।
সম্প্রতি বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে দাবি করেছিলেন যে, দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে আরএসএসের কোনও অবদান নেই। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সম্বিত পাত্র বলেন, দলমত নির্বিশেষে দেশের সকলস্তরের মানুষ স্বাধীনতা আন্দোলনে অবদান রেখেছে। কিন্তু সোনিয়া গান্ধীর বাবা-মায়ের ভারতের স্বাধীনতায় কি অবদান রয়েছে। কংগ্রেস নেতা সঞ্জয় নিরুপম দাবি করেছিলেন যে ইতালির ফ্যাসীবাদী নেতা মুসোলিনি হয়ে কাজ করতেন সোনিয়ার বাবা স্টিফাউনো মাইনো।
সিএএ নিয়ে কংগ্রেস সহ বিরোধীদের সমালোচনা করে সম্বিত বলেন, সিএএ ও এনপিআর বিরোধী বিক্ষোভকে হাতিয়ার করে বিরোধী দলগুলি হিংসার পরিবেশ তৈরি করেছে। কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলি হিন্দুদের অপমান করে চলেছেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষে সওয়াল করে সম্বিত পাত্র জানিয়েছেন, হিন্দুরা ভারতকে সহিষ্ণু এবং মহান সভ্যতায় পরিণত করেছে।