আজও ককবরক ভাষার বিকাশ ঘটেনি, ক্ষোভ প্রকাশ ত্রিপুরার উপজাতি কল্যাণ মন্ত্রীর

আগরতলা, ১৯ জানুয়ারি (হি. স.) : ত্রিপুরায় ককবরকের বিশিষ্ট লেখক এবং শিল্পীদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও ওই দিবস উপলক্ষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছিল। দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হলেও ককবরক ভাষার আশানুরূপ বিকাশ না হওয়ায় আজ সন্ধ্যায় আগরতলা টাউন হলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন উপজাতি কল্যাণ মন্ত্রী মেবার কুমার জমাতিয়া।

আজ সন্ধ্যায় আগরতলা টাউন হলে ৪২তম ককবরক দিবস উদযাপন উপলক্ষে ককবরকের বিশিষ্ট লেখক শিল্পীদের সম্বর্ধনা প্রদান ও সাংসৃকতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে৷ প্রদীপ প্রজ্জলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন উপজাতি কল্যাণ মন্ত্রী মেবার কুমার জমাতিয়া৷ ককবরক এবং সংখ্যালঘু ভাষা অধিকার এবং উপজাতি গবেষণা ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী ভাষণে মন্ত্রী মেবার কুমার জমাতিয়া বলেন, ককবরক ভাষা স্বীকৃতির ৪২ বছর অতিক্রান্ত হলেও এই ভাষার আশানুরূপ বিকাশ ঘটেনি৷ তাই, এ-বিষয়ে এই ভাষার লেখক, বুদ্ধিজীবি সহ যুব সমাজকে ভাবতে হবে৷ তিনি সকল ভাষার লেখক ও গবেষকদের এই কাজে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান৷

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ’পূর্বোদয়া’র সাধারণ সম্পাদক নিতি দেব৷ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ককবরক ভাষা উন্নয়ন উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান বিধায়ক ডাঃ অতুল দেববর্মা৷ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বর্ণালী গোস্বামী এবং ককবরক ও সংখ্যালঘু ভাষা অধিকারের অধিকর্তা সুুনীল দেববর্মা৷ স্বাগত ভাষণ দেন ট্রাইবেল রিসার্স এণ্ড কালচারেল ইনস্টিটিউটের অধিকর্তা ধনঞ্জয় দেববর্মা৷ অনুষ্ঠানে অতিথিগণ ৪২তম ককবরক ভাষা দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত মরণিকা ’সাইমা’ এবং ’ইয়াকপাই’-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন৷

অনুষ্ঠানে ককবরকের বিশিষ্ট লেখক নরেন্দ্র দেববর্মাকে রাধামোহন ঠাকুর এওয়ার্ড, বিনয় দেববর্মাকে অলিন্দ্রলাল এওয়ার্ড এবং বিশিষ্ট জনজাতি লোকশিল্পী তরুবালা দেববর্মাকে মহেন্দ্র দেববর্মা মেমোরিয়াল এওয়ার্ড দেওয়া হয়৷ এছাড়াও অনুষ্ঠানে জনজাতি সম্পদায়ের মেধাবি ছাত্রছাত্রীদের সম্বর্ধনা দেওয়া হয়৷ অনুষ্ঠান উপলক্ষে আয়োজিত হয়েছে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান৷ অনুষ্ঠানে অতিথিগণ তাদের হাতে সম্বর্ধনা ও শংসাপত্র তুলে দেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *