আগরতলা, ১৮ জানুয়ারি (হি. স.) : ত্রিপুরায় গণতন্ত্র উন্মুক্ত। তাই, মিছিল-সমাবেশে কোন বাধা দেওয়া হয়না। গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধের বিরোধীদের অভিযোগের জবাবে তথ্য তুলে ধরে পাল্টা নিশানা করেছেন আইনমন্ত্রী রতন লাল নাথ।
আজ সন্ধ্যায় মহাকরণে আইনমন্ত্রী বলেন, বিজেপি-আইপিএফটি জোট সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে আলোচনা-সমালোচনা পছন্দ করি আমরা। তাই, কোন দলের রাজনৈতিক মিছিল-সমাবেশে বাধা দেওয়া হয় না। অথচ, প্রায় সময় বিরোধীরা ত্রিপুরা সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধের অভিযোগ আনেন।
এক তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, সারা ত্রিপুরায় বিজেপি ২৪৫৪টি মিছিল-সমাবেশের আবেদন জানিয়েছিল। পুলিশের অনুমতি পেয়েছে ২৪৪৪টি-র। তেমনি, সিপিএম ৯১৯টি আবেদন করেছে। তার মধ্যে ৯০৬টি মিছিল-সমাবেশের অনুমতি পেয়েছে। তাছাড়া, কংগ্রেস ৫১০টি আবেদন করে ৪৯৮টি মিছিল-সমাবেশের অনুমতি পেয়েছে।
তাঁর দাবি, অন্যান্য রাজনৈতিক দলের একইভাবে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আইপিএফটি ৮১৫টি আবেদনে ৮০৯টি, আইএনপিটি-র ১৪০টি আবেদনে ১৩৬টি, তৃণমূল কংগ্রেসের ৯টি আবেদনে ৯টি, আমরা বাঙালি-র ৭৮টি আবেদনে ৭৬টি এবং অন্যান্য ৪২২টি আবেদনে ৪১৫টি মিছিল-সমাবেশের অনুমতি পেয়েছে।
তিনি কটাক্ষের সুরে বলেন, তবুও বিরোধীরা সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধের অভিযোগ আনছেন। তাঁর কথায়, মিছিল-সমাবেশের ১০০ শতাংশ আবেদনের অনুমতি দেওয়া কখনই সম্ভব নয়। কারণ, পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি এবং আইন-শৃঙ্খলার উপর নির্ভর করে পুলিশ মিছিল-সমাবেশের অনুমতি দিয়ে থাকে। অযথা, সমালোচনা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনায় কাম্য নয়, ক্ষোভের সুরে বলেন তিনি।