ঢাকা, ১০ জানুয়ারি (হি.স.) : আজ শুক্রবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। এদিন জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বিশাল অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা তথা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জন্য শেখ মুজিবুরের রহমানের অবদানের প্রসঙ্গ মনে করিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হত না। শেখ মুজিবুর রহমানের শতবর্ষের সূচনায় তেজগাঁও পুরনো বিমানবন্দরে এমন কথাই বললেন তিনি। আজ থেকে সারা দেশে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উদযাপন শুরু হয়ে গেল। শেখ হাসিনার পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ছোট কন্যা শেখ রেহানা, দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়, জাতীয় অধ্যাপক ড: রফিকুল ইসলাম এবং কবি কামাল চৌধুরি।
শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিক ভাবে শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবর্ষ উদযাপনের কাউন্টডাউন উদ্বোধন করেন। প্রচুর জনতা উপস্থিত হবে বলে আগে থেকেই অনুমান করা হয়েছিল। মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। প্যারেড গ্রাউন্ডের বিভিন্ন জায়গায় জায়েন্ট স্ক্রিন বাসানো হয়েছে। এই প্যারেড গ্রাউন্ডে একদিন বিমানে এসে নেমেছিলেন বঙ্গবন্ধু। মাঠে বিমানের একটি রেপ্লিকাও বসানো হয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, “যে বিজয়ের আলোকবর্তিতা তিনি আমাদের হাতে তুলে দিয়েছেন, সে মশাল নিয়েই আমরা আগামী দিনে চলতে চাই। বাংলাদেশকে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসাবে গড়তে চাই। সেদিনটিতে আমরা হয়ত বিমানবন্দরে আসতে পারিনি, তখন আমার বাচ্চাটি ছোট ছিল, আমরা এমন অবস্থায় ছিলাম।
কিন্তু আমার মনে পড়ে মা সর্বক্ষণ একটি রেডিও নিয়ে বসেছিলেন, ধারাবাহিক বিবরণ শুনছিলেন, আমরা পাশে বসে সারাক্ষণ ধারা বিবরণী শুনেছিলাম।” পাকিস্তানের জেল থেকে মুক্তি পেয়ে লন্ডন ও নয়াদিল্লি হয়ে ১৯৭২ সালে আজকের দিনে স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে এসেছিলেন মুজিবুর। ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন। সরকারি ভাবে জানানো হয়েছে সারা দেশে শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবর্ষের জন্য নানা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং অনুষ্ঠানের নিরাপত্তার জন্য প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হবে। বঙ্গবন্ধুর শতবর্ষের নানা অনুষ্ঠান নিয়ে আশাবাদী উদযাপন জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান কামাল চৌধুরি।