নয়াদিল্লি, ৭ জানুয়ারি (হি.স.) : দেশের বিদেশ এবং প্রতিরক্ষা নীতির বহু সমস্যার সমাধান করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০১৪ সালের আগে দেশের কোনও প্রতিরক্ষা নীতি ছিল না। সেই সময় বিদেশ নীতির মাধ্যমে প্রভাবিত হত প্রতিরক্ষার সিদ্ধান্তগুলি বলে জানিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
মঙ্গলবার রাজধানী দিল্লিতে মহারাষ্ট্র সদনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জীবনের উপর লেখা বই কর্মযোদ্ধা গ্রন্থের আনুষ্ঠানিক প্রকাশ উপলক্ষ্যে বলতে গিয়ে অমিত শাহ জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নিজের একাধিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে ভারতের উপর কেউ আঘাত হানলে তার যোগ্য জবাব দেওয়া হবে। দীর্ঘ সময় পড়ে ভারতের বিদেশনীতির ভিত্তি তৈরি করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সাম্যের ভিত্তিতে বিদেশনীতি গড়ে তুলেছেন তিনি। ভুটান সফরে গেলে প্রধানমন্ত্রী বড় ভাইয়ের আচরণ করেন না। আবার আমেরিকা সফরে গিয়ে চোখে চোখ রেখে কথা বলেন।
অমিত শাহ আরও জানিয়েছেন, গণতন্ত্রে জনগণের স্বীকৃতি সরকারের কাছে প্রধান প্রাপ্তি। জনাদেশই জনগণের আর্শীবাদ। রাজ্য ও কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পক্ষেই জনাদেশ গিয়েছে। কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলুপ্তি, অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ, তিন তালাক বিরোধী বিল, উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব প্রদানের বিষয়গুলি মোদী সরকার দিয়েছে। যে সকল বিষয়গুলি ৭০ বছর ধরে জট বেঁধে ছিল। আগের সরকার যে সকল সমস্যার সমাধান করতে ভয় পেত। বিজেপি সরকার সেই সকল সমস্যার সমাধান করেছে।
কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দেগে অমিত শাহ জানিয়েছেন ১৯৬৭ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তোষণ, জাতিবাদ, পরিবারতন্ত্রের রাজনীতি সমাজকে ছিন্নভিন্ন করে ছেড়েছে। কিন্তু মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে। বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের আমলে সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরে তিনি বলেন, ইস্তেহার কেবল মাত্র কাগজের টুকরো হয়ে থেকে যায়নি। ইস্তেহারে প্রতিশ্রুতি দেওয়া ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর চারিত্রিক দিক তুলে ধরে তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদী সংবেদনশীল, কুশল সংগঠক, দক্ষ প্রশাসক। প্রকৃত অর্থে তিনি একজন স্টেটসম্যান। অমিত শাহ জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কাজ করে তিনি ধন্য।