কর্তব্যই নাগরিকদের আধিকার রক্ষা করে, সংবিধান দিবসে সংসদের সেন্ট্রাল হলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

নয়াদিল্লি, ২৬ নভেম্বর (হি.স.): কর্তব্যই নাগরিকদের আধিকার রক্ষা করে |  সংবিধান দিবস উপলক্ষে সংসদ ভবনের সেন্ট্রাল হলে অনুষ্ঠিত উভয় কক্ষের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী |

ভারতীয় সংবিধানের ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার সংসদ ভবনের সেন্ট্রাল হলে আয়োজিত সংসদের উভয় কক্ষের অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, নতুন ভারত গঠনের জন্য নাগরিকদের যে কোনও কাজ করার সময় কর্তব্যের উপর জোর দেওয়া উচিত | কারন কর্তব্যই নাগরিকদের আধিকার রক্ষা করে| তিনি বলেন, আমাদের সংবিধান সবচেয়ে বড় ও পবিত্র গ্রন্থ | এটি এমন একটি গ্রন্থ যেখানে আমাদের জীবন, আমাদের সমাজ, আমাদের ঐতিহ্য এবং আমাদের মর্যাদার সমাবেশ ঘটছে | এছাড়া সমস্ত সমস্যার সমাধানও রয়েছে এখানে ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংবিধানের আসল শক্তি দেশের নাগরিকরা। এটিই সংবিধানের অনুপ্রেরণা ও উদ্দেশ্য।  বিশ্ব গণতন্ত্রে ভারতীয় সংবিধানকে সেরা হিসাবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, এটি নাগরিকদের কেবল তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন রাখে তা নয়, তাদের দায়িত্ব সম্পর্কেও সচেতন রাখে। তিনি সকল নাগরিককে দায়িত্ব পালনের জন্য সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দেশের নতুন নির্মাণে এগিয়ে এসে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।

নরেন্দ্র মোদী বলেন, দেশের প্রতিটি নাগরিকের উচিত তাদের প্রতিটি কাজ এবং বার্তালাপের কেন্দ্রবিন্দুতে কর্তব্য পালনের বিষয়টি থাকা উচিত। দেশের গর্বিত নাগরিক হওয়ার জন্য প্রত্যেককের এটা চিন্তা করা উচিত যে, তাদের কর্মের মাধ্যমে কীভাবে দেশকে আরও শক্তিশালী করা যায়।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, সংবিধানের ভাবনা অটল এবং অটল আছে । এমনকি এরকম কিছু চেষ্টা করা হলেও, দেশবাসী তাদের একত্রে ব্যর্থ করেছে এবং সংবিধানে  কোনও প্রভাব পড়তে দেয়নি।

প্রধানমন্ত্রী এদিন দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ, ডঃ ভীমরাও আম্বেদকর, সরদার বল্লভভাই প্যাটেল, পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু, মাওলানা আবদুল কালাম আজাদ এবং সুচেতা কৃপালানীকে স্মরণ করে সমস্ত গণ্যমান্য ব্যক্তিকে স্মরণ করেন । তিনি বলেন, আজকের দিনটি একটি ঐতিহাসিক দিন। এমনকিছু দিন এবং উপলক্ষ্য আছে যা আমাদের অতীতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ককে জোরদার করে। আমাদের আরও ভাল কাজ করতে অনুপ্রাণিত করে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *