ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে বিদ্যালয় চত্বরেই গণধলাই শিক্ষককে

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৫ নভেম্বর৷৷ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে৷ উত্তর ত্রিপুরা জেলার ধর্মনগরের গঙ্গানগর উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাথমিক বিভাগের ওই শিক্ষককে নিয়ে যেমন ছি ছি রব উঠেছে ঠিক তেমনি ওই শিক্ষককে গণপ্রহারের ঘটনায় অভিভাবকদের ভূমিকা নিয়েও সমালোচনা হচ্ছে৷


শনিবার গঙ্গানগর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাথমিক বিভাগের এক ছাত্রীকে বিদ্যালয়েরই শিক্ষক নজরুল ইসলাম নির্জন শ্রেণিকক্ষে নিয়ে শ্লীলতাহানি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে৷ অভিভাবকরা আজ সোমবার এই অভিযোগ তুলেছেন৷ স্থানীয়দের বক্তব্য, ওই ছাত্রী শনিবার বাড়ি ফিরে গিয়ে অভিভাবকদের গোটা ঘটনা বিস্তারিত জানিয়েছিল৷ পরবর্তী সময়ে ছাত্রীটি অসুস্থ হয়ে পড়ে৷ বিষয়টি নিয়ে অভিভাবক-সহ এলাকাবাসী বিদ্যালয় পরিচালন কমিটির শরণাপন্ন হন৷


আজ বিদ্যালয় পরিচালন কমিটির সদস্যরা ওই শিক্ষকের কাছে ঘটনার সত্যতা জানতে চান৷ কিন্তু শিক্ষক তাঁর বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন৷ তখন অভিভাবকরা পুলিশে খবর দেন৷ পুলিশও খবর পেয়ে বিদ্যালয়ে ছুটে আসে৷ কিন্তু হঠাৎ ওই ছাত্রীর অভিভাবক-সহ অন্যরা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন৷ বিদ্যালয় পরিচালন কমিটির সামনেই অভিভাবক-সহ স্থানীয়রা আইন নিজেদের হাতে তুলে নেন৷ তারা সকলে মিলে অভিযুক্ত শিক্ষককে বেধড়ক মারধর শুরু করেন৷ তারা এতটাই উত্তেজিত হয়ে পড়েন, শিক্ষককে বাঁচাতে গিয়ে পুলিশ কর্মীরাও মার খেয়েছেন৷ এখানেই থেমে থাকেননি তারা৷ পুলিশের সামনেই অভিযুক্ত শিক্ষকের বাইক ভেঙে ফেলেন তারা৷ পুলিশ কোনওক্রমে অভিযুক্ত শিক্ষককে সেখান থেকে নিয়ে যেতে সক্ষম হন৷


এই ঘটনায় এলাকায় প্রচণ্ড উত্তেজনা দেখা দিয়েছে৷ এ-কথা অস্বীকার করার উপায় নেই, সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের আচরণে শিক্ষক সমাজ কলঙ্কিত হয়েছে৷ কিন্তু আইন হাতে তুলে নেওয়াও অভিভাবক ও স্থানীয়দের উচিত হয়নি৷ পুলিশ জানিয়েছে, ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় তদন্ত হবে৷ অভিযোগ প্রমাণিত হলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *