আইজল (মিজোরাম), ১২ নভেম্বর (হি.স.) : উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অন্যতম পাহাড়ি রাজ্য মিজোরামে প্রতিদিন গড়ে নয়জনের শরীরে এইচআইভি / এইডস-এর জীবাণু ধরা পড়ছে। মিজোরামের মতো স্বল্প জনসংখ্যার রাজ্যে এইচআইভি / এইডস বহনকারীর সংখ্যা নয়ের আনুপাতিক হার গোটা ভারতের মধ্যে সর্বাধিক। জানা গেছে, মিজোরাম স্টেট এইডস কন্ট্রোল সোসাইটি (এমএসএসিএস) সূত্রে। এদিকে বিষয়কে কেন্দ্র করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা।
![](https://jagarantripura.com/wp-content/uploads/2019/11/HIV-AIDS.jpg)
গোটা দেশের কথা বাদ দিয়ে উত্তরপূর্বীয় রাজ্যগুলির তথ্য দিয়েছে এমএসএসিএস-এর সূত্রটি। বলেছে, এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যা মিজোরামে সর্বাধিক। রাজ্যে এই হার ২.০৪ শতাংশ হলেও অন্য দুই রাজ্য মণিপুর এবং নাগাল্যান্ডে এইচআইভি / এইডস আক্রান্তের হার যথাক্রমে ১.৪৩ এবং ১.১৫ শতাংশ।
এমএসএসিএস-এর সূত্রটির দাবি, তাঁরা ২০০৬ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত যে তথ্য সংগ্রহ করেছেন তাতে ৬৭.২ শতাংশ পজিটিভ কেস পেয়েছিলেন। এর মধ্য ১.০৩ শতাংশ সমকামী। এছাড়া ২৮.১২ শতাংশ ছড়িয়েছে সূঁচের মাধ্যমে ইঞ্জেকশন দ্বারা ড্রাগস গ্রহণের ফলে। এবং তা হচ্ছে মায়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে ড্রাগস সামগ্রী আসায়। সূত্রটি বলেছে, রাজ্যে এইচআইভি / এইডস-এর সংক্রমণ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি হওয়ায় উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গাও। সংবেদনশীল এই বিষয়টি প্রতিরোধে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে গত ১১ অক্টোবর থেকে ব্যাপক সচেতনতা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে রাজ্য সরকার।
এদিকে রাজ্যে বর্ধিত মারণব্যাধি সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গার সঙ্গে কথা বললে হিন্দুস্থান সমাচার-কে তিনি জানান, সরকার এইচআইঢি / এইডস-এর ভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এবং এই রোগের চিকিৎসা ও প্রতিরোধের প্রতি মনোনিবেশ করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তাঁর সরকার। ২৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সিদের মধ্যে এই সংক্রমণ বেশি হচ্ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তবে ৩৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সি এবং ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সিদের মধ্যে তুলনামূলকভাবে এর প্রবণতা কম।