
নিজস্ব প্রতিনিধি, চুড়াইবাড়ি, ৪ সেপ্ঢেম্বর৷৷ খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে প্রবেশ করে অবশেষে বেঘোরে প্রাণ হারাল একটি হরিণ শাবক৷ মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটেছে অসমের সীমান্তবর্তী উত্তর ত্রিপুরার কদমতলা থানাধীন ব্রজেন্দ্রনগর গ্রামে৷
জানা গেছে, বুধবার সকালে বছর দেড়েকের একটি হরিণ শাবক জনপদে এসে পায়চারী করছিল৷ হরিণের বাচ্চা দেখে স্থানীয় কতিপয় কৌতূহলী যুবক তাকে ধরতে ছুটোছুটি করেন৷ তখন তাকে কয়েকটি লাঠির ঘা-ও খেতে হয়েছে৷ এক সময় তাদের হাতে ধরা পড়ে নিরীহ হরিণ শাবকটি৷ তাকে গ্রামের জনৈক গৌরমোহন দাসের বাড়িতে বেঁধে রেখে খবর দেওয়া হয়ে স্থানীয় বন দফতরে৷
খবর পেয়ে দুপুরের দিকে দলবল নিষে গৌরমোহন দাসের বাড়ি আসেন পানিসাগর ফরেস্ট প্রটেকশন ইউনিটের ইনচার্জ ফাংকিমা ডার্লং৷ তাঁরা হরিণ শাবকটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান ধর্মনগর পশু হাসপাতালে৷ কিন্তু শেষ রক্ষা হষনি৷ চিকিৎসা শুরুর প্রায় দুঘণ্টা পর বিকেলের দিকে হাসপাতালে প্রাণ হারায় হরিণ শাবকটি৷
এ ঘটনায় এলাকার পরিবেশপ্রেমীরা নানা প্রশ্ণ তুলেছেন৷ হরিণ শাবকের মৃত্যুর জন্য নানা কারণ তুলে তাঁরা বন বিভাগকে দায়ী করেছেন৷ অনেকে বলছেন, হরিণ শাবকটি যথাসময়ে চিকিৎসা পায়নি, তাই মৃত্যু হয়েছে তার৷ আবার অনেকে এ ঘটনার জন্য গ্রামের যুবকদের দায়ী করছেন৷ তাঁদের বক্তব্য, তাড়িয়ে লাঠিপেটা করার জন্য মারা গেছে এক অবলা পশুসম্পদ৷
এদিকে মৃত হরিণ শাবকের ময়না তদন্ত করে তাকে মাটিতে পোঁতা হয়েছে৷ ফরেস্ট প্রটেকশন ইউনিটের ইনচার্জ ফাংকিমা ডার্লং জানান, ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর তার মৃত্যুর কারণ জানা যাবে৷ সে অনুযায়ী পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথাও জানান ডার্লং৷

