নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৭ আগস্ট৷৷ ডিওয়াইএফআই এবং টিওয়াইএফের তিনদিনব্যাপী রাজ্য কনভেনশন আগরতলায় শনিবার শেষ হয়েছে৷ কনভেনশন শেষে সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ রাজ্যে বিজেপি সরকারের কাজকর্মের তীব্র সমালোচনা করেন৷
![](https://jagarantripura.com/wp-content/uploads/2019/08/DYFI.jpg)
বিজেপি’র নেতৃত্বাধীন সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে বিরোধীদের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক অধিকার হরণ করার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ৷ রাজ্যে বামফ্রন্ট ক্ষমতা হারানোর পর থেকে ডিওয়াইএফআই টিওয়াইএফের উপর ক্রমাগত আক্রমণ সংগঠিত হচ্ছে৷ সাংগঠনিক কাজকর্ম করতে দেওয়া হচ্ছে না৷ রাজ্যে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই৷ ভোটে যে কোন দল জিততে পারে৷ কিন্তু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় প্রত্যেক দল কথা বলবে, নিজেদের কাজ করবে-তার মধ্য দিয়ে মানুষ ঠিক করবে কে ভাল, কে ভাল নয়৷ রাজ্যের বিজেপি সরকার গঠনের পর থেকেই তারা অন্যান্য দল ও সংগঠনগুলিকে ভয় পাচ্ছে৷ সে কারণেই বিরোধী সংগঠনগুলির গণতান্ত্রিক আন্দোলনের উপর আক্রমণ সংগঠিত করা হচ্ছে৷ পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৮৬ ভাগ আসনে বিরোধীদের প্রার্থী দিতে দিল না৷ বিজেপি যদি মানুষের সমর্থনে জিতে থাকে তাহলে বিরোধীদের ভয় পাচ্ছেন কেন, আক্রমণ সংগঠিত করা হচ্ছে কেন? সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক উপায়ে রাজ্যের বিজেপি’র নেতৃত্বাধীন সরকার চলছে বলে তিনি অভিযোগ করেন৷
মোদি সরকার তাদের একটি প্রতিশ্রুতিও পূরণ করেনি বলে অভিযোগ করা হয়৷ ৪৪টি লাভজনক রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা বিক্রি করার পথে অগ্রসর হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ মানুষ যাতে তীব্র আক্রমণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় সেজন্য কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে৷ ডিওয়াইএফআই বলেছে কাশ্মীর কারোর সাথে ছিল না৷ ৩৭০ ধারার মধ্য দিয়ে কাশ্মীরকে কিছু সুবিধা দেওয়া হবে সেই চুক্তির ভিত্তিতেই কাশ্মীর ভারতের সঙ্গে এসেছিল৷ কাশ্মীর ও ভারতের মধ্যে যে সুতোটা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল সেই সুতোটা কেটে দেওয়া হয়েছে বলে ডিওয়াইএফআই নেতা অভিযোগ করেন৷ কাশ্মীর যদি মনে করে তারা চুক্তি তুলে নেওয়ায় ভারতের সঙ্গে থাকবে না, তাহলে তারা ভারতের সঙ্গে না-ও থাকতে পারে৷ তারা আলাদা থাকার জন্য রাষ্ট্রসংঘে আপিলও করতে পারে৷ কাশ্মীরের মানুষ কেমন আছে তা কেন জানতে দেওয়া হচ্ছে না সেই প্রশ্ণও তুলেছে ডিওয়াইএফআই৷