![](https://jagarantripura.com/wp-content/uploads/2018/07/download.jpg)
নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৬ আগস্ট৷৷ সম্ভবত আগামী ১ সেপ্ঢেম্বর থেকে ত্রিপুরায় ডেমু ট্রেন পরিষেবা শুরু হতে চলেছে৷ রেল মন্ত্রক ত্রিপুরায় ডেমু (ডিজেল ইলেকট্রিক মাল্টিপল ইউনিট) ট্রেন পরিষেবার অনুমোদন দিয়েছে৷ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের কথায় এমটাই মনে হচ্ছে৷ তাঁর দাবি, রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এক চিঠিতে জানিয়েছেন, আগরতলা-বিলোনিয়া-সাব্রুম লাইনে তিন জোড়া এবং ধর্মনগর-আগরতলা-বিলোনিয়া-সাব্রুম লাইনে এক জোড়া ডেমু ট্রেন পরিষেবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ ত্রিপুরা সরকারের অনুরোধেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল মন্ত্রক, সে-কথা তিনি চিঠিতে উল্লেখ করেছেন৷
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রে এনডিএ সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ত্রিপুরায় রেল পরিষেবায় আমূল পরিবর্তন এসেছে৷ কেন্দ্রের নির্দেশে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ত্রিপুরায় মিটার গেজ থেকে ব্রডগেজে রূপান্তরের কাজ দ্রুত সমাপ্ত হয়েছে৷ শুধু তা-ই নয়, রাজধানী এক্সপ্রেস-সহ দূরপাল্লার একাধিক ট্রেন পরিষেবা চালু হয়েছে ত্রিপুরায়৷ তাতে, সদূর দক্ষিণের সাথেও ত্রিপুরা রেলপথে সরাসরি যুক্ত হয়েছে৷ ইতিমধ্যে সাব্রুম লাইনেও রেলপথ নির্মাণের কাজ সমাপ্ত হয়েছে৷ সুরক্ষা পর্যবেক্ষণের সবুজ সংকেত মিললেই ওই লাইনে রেল চলাচল শুরু হয়ে যাবে৷ আপাতত বিলোনিয়া পর্যন্ত ট্রেন চলাচল করছে৷
রাজ্যের অভ্যন্তরে যাত্রী পরিষেবায় ডেমু ট্রেনের বিশেষ চাহিদা রয়েছে৷ উত্তরপূর্বের মধ্যে কেবল অসমে ডেমু ট্রেন পরিষেবা রয়েছে৷ তাই, ত্রিপুরা সরকার দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যেও ডেমু ট্রেন পরিষেবা চালু করার জন্য কেন্দ্রের কাছে দরবার করছে৷ ত্রিপুরা সরকারের পক্ষ থেকে একাধিকবার ডেমু ট্রেনের অনুরোধ জানিয়ে রেলমন্ত্রীর চিঠি পাঠানো হয়েছে৷ অবশেষে রেলমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে এই সুখবর দিয়েছেন৷
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, চিঠিতে রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, রেল পরিষেবার পরিধি বৃদ্ধির জন্য ত্রিপুরা সরকার লাগাতার ডেমু ট্রেন পরিষেবার অনুরোধ জানিয়েছে৷ তাই, ত্রিপুরায় ডেমু ট্রেন চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ তাঁর কথায়, ১ সেপ্ঢেম্বর থেকে আগরতলা-বিলোনিয়া ও সাব্রুমের মধ্যে তিনজোড়া এবং ধর্মনগর থেকে সাব্রুম পর্যন্ত একজোড়া ডেমু লোকাল ট্রেন চালু করা হবে বলে গৃহীত সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী৷
উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের জনৈক আধিকারিকের কথায়, ডেমু ট্রেন চালুর ক্ষেত্রে পরিকাঠামো রয়েছে ত্রিপুরায়৷ কিন্তু, ওই পরিকাঠামো যথেষ্ট নয়৷ সে-ক্ষেত্রে ত্রিপুরায় পরিকাঠামো উন্নয়নে শীঘ্রই পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন৷ তাঁর কথায়, পরিকাঠামো উন্নয়ন না করে পরিষেবা চালু করা হলে মাঝেমধ্যে সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে৷