দিল্লীতে ত্রিপাক্ষিক সমঝোতা পত্রে স্বাক্ষর নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন এনএলএফটির

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা/নয়াদিল্লী৷৷ ত্রিপুরার নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন এনএলএফটি (এসডি) ভারত সরকারের সাথে সমঝোতা পত্রে স্বাক্ষর করেছে৷ সহিংসতার পথ ছেড়ে তারা ভারতের সংবিধান মেনে মূলস্রোতে ফিরে আসতে সম্মত হয়েছেন ৷ এছাড়া অস্ত্র-সহ ৮৮ জন এনএলএফটি জঙ্গি আত্মসমর্পণ করবেন বলেও ভারত সরকারকে সম্মতি জানিয়েছেন এনএলএফটি-প্রধান সবির কুমার দেববর্মা ৷ তাই, আত্মসমর্পণকারী বৈরিদের মতোই তাদের সমস্ত সুযোগ সুবিধা দেওয়া বলে আশ্বস্ত করেছে ভারত সরকার ৷ শনিবার নয়াদিল্লিতে ভারত সরকার, ত্রিপুরা সরকার এবং এনএলএফটি-র মধ্যে ত্রিপাক্ষিক এই সমঝোতা পত্রে স্বাক্ষর হয়েছে ৷ ত্রিপুরা সরকারও আত্মসমর্পণকারী বৈরিদের যোজনা অনুযায়ী সহায়তা করবে বলে আশ্বস্ত করেছে ৷


বেআইনি কাজকর্ম প্রতিরোধক আইনে ১৯৯৭ সালে এনএলএফটি জঙ্গি গোষ্ঠিটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল ভারত সরকার ৷ ত্রিপুরায় এই জঙ্গি গোষ্ঠী ২০০৫-২০১৫ সময়ের মধ্যে ৩১৭টি সন্ত্রাসী হামলায় ২৮ জন নিরাপত্তা কর্মী এবং ৬২ জন সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে ৷ ২০১৫ সাল থেকে তাদের সাথে শান্তি আলোচনা শুরু হয়৷ তাতে, ২০১৬ সাল থেকে কোনও সন্ত্রাসী হামলা সংগঠিত করেনি এনএলএফটি৷
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এক প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছে, এখন এনএলএফটি জঙ্গিরা সহিংসতার পথ ছেড়ে ভারতের সংবিধান মেনে মূলস্রোতে ফিরে আসতে রাজি হয়েছে ৷ শুধু তা-ই নয়, ৮৮ জন এনএলএফটি জঙ্গি অস্ত্রশস্ত্র-সহ আত্মসমর্পণ করবেন বলে সম্মত হয়েছেন ৷ তাই, আজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পূবর্োত্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব সত্যেন গর্গ, ত্রিপুরা সরকারের গৃহ দফতরের প্রধানসচিব কুমার অলক এবং এনএলএফটি-প্রধান সবির কুমার দেববর্মা ও কাজল দেববর্মার মধ্যে সমঝোতা পত্রে স্বাক্ষরিত হয়েছে৷


কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বিবৃতিতে আরও জানিয়েছে, আত্মসমর্পণকারী জঙ্গিদের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আত্মসমর্পণ তথা পূনর্বাসন যোজনা ২০১৮-এর অন্তর্গত সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হবে৷ পাশাপাশি ত্রিপুরা সরকার আত্মসমর্পণকারী জঙ্গিদের ঘর নির্মাণ, কর্মসংস্থান, শিক্ষা ইত্যাদি ক্ষেত্রে সহায়তা করবে৷ তাছাড়া, ত্রিপুরায় জনজাতিদের অর্থনৈতিক প্রগতিতে রাজ্য সরকারের প্রস্তাব বিবেচনা করা হবে বলেও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক আশ্বাস দিয়েছে৷
এদিন সমঝোতা পত্রে স্বাক্ষর করার পর এনএলএফটি প্রতিনিধিরা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-এর সাথে সাক্ষাৎ করেছেন৷


সহিংসতার পথ ছেড়ে এনএলএফটি জঙ্গী গোষ্ঠির সমঝোতা পত্রে স্বাক্ষরের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব৷ পাশাপাশি, আগামীদিনে এনএলএফটি-র যে জঙ্গীরা আত্মসমর্পণ করবেন, তাদের সব রকম সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি৷
আজ নয়াদিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পূবর্োত্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব সত্যেন গর্গ, ত্রিপুরা সরকারের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান সচিব কুমার অলক এবং এনএলএফটি প্রধান সবির কুমার দেববর্মা ও কাজল দেববর্মার মধ্যে সমঝোতা পত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে৷ এখন এনএলএফটি জঙ্গীরা সহিংসতার পথ ছেড়ে ভারতের সংবিধান মেনে মূলস্রোতে ফিরে আসতে রাজী হয়েছে৷ শুধু তাই নয়, ৮৮ জন এনএলএফটি জঙ্গী অস্ত্র সহ আত্মসমর্পণ করবেন বলে সম্মত হয়েছেন৷


এ-বিষয়ে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব ট্যুইট করে বলেন, এনএলএফটি-র এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানাচ্ছি৷ দীর্ঘ ৫ বছর আলোচনা শেষে অবশেষে ভারত সরকার, ত্রিপুরা সরকার এবং এনএলএফটি-র মধ্যে সমঝোতা পত্র স্বাক্ষর হয়েছে৷


এদিন তিনি ট্যুইটে আরও বলেন, আত্মসমর্পণকারী জঙ্গীদের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আত্মসমর্পণ তথা পূণর্বাসন যোজনা ২০১৮ এর অন্তর্গত সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হবে৷ পাশাপাশি ত্রিপুরা সরকার আত্মসমর্পণকারী জঙ্গীদের ঘর নির্মাণ, কর্মসংস্থান, শিক্ষা ইত্যাদি ক্ষেত্রে সহায়তা করবে৷ তাছাড়া, ত্রিপুরায় জনজাতিদের অর্থনৈতিক প্রগতিতে রাজ্য সরকারের প্রস্তাব বিবেচনা করা হবে বলেও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক আশ্বাস দিয়েছে৷ তিনি আশ্বাস দেন, তাদের সার্বিক কল্যাণ ও প্রগতির জন্য সম্ভাব্য সমস্ত সহযোগিতায় হাত বাড়িয়ে দেবে ত্রিপুরা সরকার৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *