৮ আগস্ট জাতীয় কৃমিনাশক দিবস, ত্রিপুরায় ৭ তারিখ সূচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৫ আগস্ট৷৷আগামী ৮ আগস্ট ত্রিপুরায় পালিত হবে জাতীয় কৃমিনাশক দিবস৷ এর আগের দিন অর্থাৎ ৭ আগস্ট রাজ্যের গোমতি জেলার উদয়পুর মহকুমার কিল্লা এলাকায় মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্য দফতরের মন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব ছাত্রছাত্রীদের মুখে কৃমিনাশক ওষুধ তুলে দিয়ে এই কর্মসূচির সূচনা করবেন৷


সোমবার আগরতলায় জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের (এনএইচএম) অফিসে এক সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে এ-কথা জানান মিশন ডিরেক্টর ডা. শৈলেশ কুমার যাদব৷ তিনি জানান, এ-বছর রাজ্যে নবম দফায় এই দিবস পালিত হবে৷ রাজ্যের প্রতিটি সরকারি, বেসরকারি সুকল, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র-সহ সুকল-কলেজের ১ থেকে ১৯ বছর বয়সি সমস্ত ছেলেমেয়েকে কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানো হবে৷


তিনি জানান, ২০১৫ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত রাজ্যে মোট ৮ দফায় কৃমিনাশক কর্মসূচি সংগঠিত হয়েছে৷ ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মোট ৭ লক্ষ ৬৭ হাজার, ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৯ লক্ষ ৪৭ হাজার, ২০১৬ সালের আগস্ট মাসে ৯ লক্ষ ৭৮ হাজার, ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ১০ লক্ষ ৪৯ হাজার, ২০১৭ সালের আগস্টে ১০ লক্ষ ৬৮ হাজার, ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে ১১ লক্ষ ৯৯ হাজার, ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে ১০ লক্ষ ৫৯ হাজার এবং ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ১১ লক্ষ ৪৫ হাজার ছাত্রছাত্রীদের কৃমির ওষুধ খাওয়ানো হয়েছে৷

আগামী ৮ আগস্ট রাজ্য জুড়ে কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে ১২ লক্ষ ১৯ হাজার ১৮ জনকে৷ এর জন্য ৪,৫৫২টি সরকারি এবং সরকার অধিগৃহীত সুকল, ৪৮০টি বেসরকারি সুকল, ৯,৯১১টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, ৬৬টি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে৷ এছাড়াও সুকলছুট ছেলেমেয়ে, ইটভাট্ট-সহ অন্যান্য অংশের ছেলেমেয়েদেরও ওষুধ খাওয়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, জানান ডা. শৈলেশ কুমার যাদব৷


তিনি আরও জানান, ২০১৪ সালে ভারত সরকারের তরফে সার্ভে করা হয়েছিল৷ এতে দেখা গিয়েছিল, ত্রিপুরা রাজ্যে ৬০ শতাংশের বেশি ছেলেমেয়ের পেটে কৃমি রয়েছে৷ তাই ত্রিপুরা রাজ্যে বছরে ২ দফায় কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানো হয় এবং যে-সকল রাজ্যের ৫০ শতাংশ ছেলেমেয়ের পেটে কৃমি পাওয়া গিয়েছে সেই সব রাজ্য বছরে একবার কৃমির ওষুধ খাওয়ানো হয়৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *