মনু নদীতে নিখোঁজ ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৪ আগস্ট৷৷ আবারও কৈলাসহরের মনু নদীতে স্নান করতে গিয়ে এক যুবকের সলিল সমাধি ঘটল৷ ঘটনা কৈলাসহরের জুলাই গ্রামে৷


কৈলাসহরের জুলাই গ্রামের ছয় নং ওয়ার্ডের বলেহর গ্রামের বাসিন্দা মাখন মালাকারের বত্রিশ বছরের ছেলে সঞ্জিত মালাকার প্রতিদিনের মতো শনিবার বিকালে বাড়ির পাশে মনু নদীতে গিয়েছিল স্নান করতে৷ নদীতে স্নানের সময় সঞ্জিতের স্ত্রীও সঙ্গে ছিল৷ স্ত্রীর স্নান শেষ হবার পর সঞ্জিত স্ত্রীকে চলে যাবার কথা বলে৷ স্ত্রী সে অনুযায়ী বাড়িতে চলে যায়৷ কিন্তু ঘণ্টা খানেক হয়ে গেলেও সঞ্জিত বাড়িতে না আসায় স্ত্রী-এর সন্দেহ হয়৷ এই সময়ের মধ্যে সঞ্জিতের ছোট ভাই বীরজিত দাসও নদীতে গিয়ে স্নান করতে যায়৷ বীরজিত নদীতে স্নান করার সময় সঞ্জিতকে দেখেনি৷ বীরজিত স্নান সেরে বাড়িতে যাবার পর সঞ্জিতের স্ত্রী বীরজিতকে জিজ্ঞেস করে তোমার দাদাকে নদীতে স্নান করতে দেখেছো কি?


এই প্রশ্ণ করতেই বীরজিত বলে নদীতে দাদাকে দেখিনি৷ সঙ্গে সঙ্গে সঞ্জিতকে খোঁজাখুজি শুরু হয় এবং গ্রামবাসীরা নদীর জলে নেমেও খুঁজতে শুরু করে৷ কিন্তু কেউ সঞ্জিতকে খুঁজে পায়নি৷ সঙ্গে সঙ্গে কৈলাসহর থানায় এবং দমকল বাহিনীকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে দমকল বাহিনী ও পুলিশ৷ কিছুক্ষণ পর এনডিআরএফ-এর কর্মীরাও ঘটনাস্থলে গিয়ে অনেক রাত পর্যন্ত খোঁজাখুজি করে তার সন্ধান পায়নি৷ রবিবার ভোরবেলা এনডিআরএফ কর্মীরা আবার নদীতে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় তিন ঘণ্টা পর সঞ্জিতের মৃতদেহ খুঁজে পায়৷ মৃতদেহ নদী থেকে উদ্ধার করে কৈলাসহর ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় ময়না তদন্তের জন্য৷ তবে, মৃত সঞ্জিতের ছোট ভাই বীরজিত দাস এবং ঘটনাস্থলে যাওয়া কৈলাসহর থানার পুলিশ অফিসার কে.কে জমাতিয়া জানান, সঞ্জিতের মৃগী রোগ ছিল৷


জলে নামার পর মৃগী রোগে আক্রান্ত হওয়ায় সঞ্জিতের জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে৷ উল্লেখ্য, গত এক মাস পূর্বেও ঠিক একই জায়গায় নদীর জলে একসঙ্গে বাবা ও মেয়ে মারা গিয়েছিল৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *