নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৫ জুলাই৷৷ অবশেষে রাজ্যের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের জিরো পয়েন্টে আশ্রিত ১২ জন রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নিয়ে গেছে বিজিবি৷ আটদিন পর আজ দুই দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর পতাকা বৈঠকের পর বিকেল চারটা নাগাদ বাংলাদেশের কক্সবাজারে কুতুপ্লাউং শরণার্থী শিবিরে ওই রোহিঙ্গারা ফিরে গেছেন৷ প্রসঙ্গত, বিজিবি-র টালবাহানায় ১২ রোহিঙ্গাকে আটদিন ধরে জিরো পয়েন্টে থাকতে হয়েছে৷
উল্লেখ্য, গত ১৭ জুলাই ত্রিপুরার সিপাহিজলা জেলার অধীন পুটিয়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করেছিলেন ১২ জন রোহিঙ্গা৷ সীমান্ত লাগোয়া গৌরাঙ্গলা গ্রামে তাদের বিএসএফ ও বিজিবি জওয়ানরা আটক করেন তাঁদের৷ তাঁরা গত ১৫ জুলাই বাংলাদেশের কক্সবাজারে অবস্থিত কুতুপ্লাউং শরণার্থী শিবির থেকে পালিয়ে এসেছিলেন৷ তাঁদের মধ্যে ২-জন পুরুষ, ৫-জন মহিলা এবং ৫-জন শিশু ছিল৷ ওইদিন তাঁরা বাংলাদেশের কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের গৌরাঙ্গলা সীমান্তের ২০৫৩ নম্বর পিলার এলাকা দিয়ে ত্রিপুরায় প্রবেশের চেষ্টা করেছিলেন৷
বিএসএফ জানিয়েছে, তাঁদের কাছে মায়ানমারের নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র এবং বাংলাদেশ শিবিরের নথিপত্র উদ্ধার হয়েছে৷ কিন্তু, বিজিবি তাঁদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে রাজি ছিল না৷ তাই, মানবিকতার খাতিরে তাঁদের জিরো পয়েন্টে জনৈক সুমন মিয়াঁর বাড়িতে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল৷
ওই ১২ জন রোহিঙ্গার কাছে সমস্ত কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও বিজিবি-র টালাবাহানায় আটদিন ধরে তাঁরা জিরো পয়েন্টে আশ্রিত ছিলেন৷ বিএসএফ-এর ত্রিপুরা ফ্রন্িন্টয়ারের টুআইসি অরুণ কুমার বার্মা জানিয়েছেন, গত ১৭ জুলাই থেকে একাধিকবার বিজিবি-র সাথে বিএসএফ-এর পতাকা বৈঠক হয়েছে৷ এমন-কি, ওই রোহিঙ্গাদের সমস্ত কাগজপত্র বৈধ প্রমাণিত হওয়া সত্ত্বেও বিজিবি তাঁদের ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল না৷ তিনি জানান, গতকাল বিজিবি জানিয়েছিল, ওই ১২ জন রোহিঙ্গার সমস্ত কাজগপত্র যাচাই করা হয়েছে৷ তাঁদের সমস্ত কাগজপত্র বৈধ পাওয়া গিয়েছে৷
তবে আজ দুপুরে ফের বিএসএফ-বিজিবি শীর্ষ পদাধিকারিরা পতাকা বৈঠকে মিলিত হন৷ ওই বৈঠকেই স্থির হয়েছে, বিজিবি ১২ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশের শিবিরে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে, জানান অরুণ কুমার বার্মা৷ সে-মোতাবেক আজ বিকাল চারটা নাগাদ রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের শিবিরে ফিরে যান, বলেন তিনি৷