নয়াদিল্লি, ২৫ জুন (হি.স.) : দেশবাসী নিরাপদ, সুরক্ষিত এবং ঐক্যবদ্ধ ভারত চায়। তাই বহু দশক বাদে জনগণ এত বিপুল পরিমাণে শক্তিশালী জনাদেশ বিজেপির পক্ষে দিয়েছে। মঙ্গলবার লোকসভায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন ভাষণে এমনই জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, বহু দশক বাদে বিপুল জনাদেশ পেয়ে কোনও রাজনৈতিক দল ক্ষমতা এসেছে। এখনকার দিনের ভোটাররা খুবই সতর্ক। আর এই সতর্কতা প্রশংসনীয়। বিগত পাঁচ বছরে আমি অনুভব করেছি যে সকল মানুষের কেউ নেই। তাদের পাশে জনগণের সমর্থন রয়েছে। নির্বাচন কে জিতল কে হারল তার উপর ভিত্তি করে আমি ভাবি না। ২০১৯ জনগণ বিজেপির প্রতি পূর্ণ আস্থা রেখেই ভোট দিয়েছে। জনগণের সেবায় অবিরাম তপস্যা এবং নিষ্ঠাবান হয়ে কাজ করে যাওয়ার জন্যই এই ফলাফল পাওয়া গিয়েছে।
ভবিষ্যতে ভারত মহাশক্তিধর রাষ্ট্রে পরিণত হবে বলে আশা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশকে কোন পর্যায় নিয়ে যাওয়া হবে, কোন বিষয়গুলিতে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তার রূপরেখা পেশ করার চেষ্টা করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের আশা আকাঙ্খা সরকার কি ভাবে পূরণ করবে তার কন্ঠ হয়ে উঠেছে রাষ্ট্রপতির ভাষণ। নিষ্ঠা সহকারে, দ্রুততার সঙ্গে মানুষের সেই সকল আশা পূরণ করা হবে। বর্তমান আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে সুযোগ হাত ছাড়া করাটা ভারতের উচিত হবে না। সেই উচ্চতায় উঠতে গেলে আমাদের সকল বাধা পেরোতে হবে। ২০১৪ সালে খারাপ অবস্থার থেকে দেশকে বের করে আনার জন্য জনগণ আমাদের ভোট দিয়েছিল। ২০১৯ সালে যে পরীক্ষা করার পর আমরা এই বিপুল জনাদেশ অর্জন করি। এটাই হচ্ছে গণতন্ত্রের শক্তি। কঠোর পরিশ্রমের ফলেই এই ফলাফল হয়েছে।
জরুরি অবস্থার বর্ষপূর্তির প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন রাতে জরুরি অবস্থা জারি করে দেশের আত্মাকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়। কিছু মানুষের ক্ষমতায় টিকে থাকার লোভে এমন কাজ করা হয়েছিল। ভারতে গণতন্ত্র শুধুমাত্র সংবিধানের পাতা থেকে উঠে আসে না, গণতন্ত্র দশকের পর দশক ধরে ভারতের আত্মা হয়ে রয়েছে। জরুরি অবস্থার সময় যারা লড়াই চালিয়েছিল তাদের কুর্নিশ জানান প্রধানমন্ত্রী।