নয়াদিল্লি, ৪ মে (হি.স.) : ঘণ্টায় প্রায় ১৭৫ কিলোমিটার বেগে ওডিশা উপকূলে আছড়ে পড়লেও ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারনে সেভাবে ঘটেনি হয়নি প্রাণহানির ঘটনা | এর কারন সঠিক সময়ে সাইক্লোন ফণীর গতিবিধি ধরতে পারা ও ফণী নিয়ে সতর্ক থাকা | যার জন্য ভারতের আবহাওয়া দফতর ও প্রশাসনের প্রশংসা করল রাষ্ট্রসংঘ |
শুক্রবার সকাল আটটা নাগাদ ওডিশা উপকূলে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’| সকালে পুরীতে যে সময় ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ আছড়ে পড়ে, তখন হাওয়ার গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ১৭৫ কিলোমিটার| ‘ফণী’-র তাণ্ডবে বিপর্যস্ত পুরী, ভুবনেশ্বর, গঞ্জাম-সহ ওডিশার বিভিন্ন উপকূলবর্তী জেলাগুলি| ভুবনেশ্বরে ভেঙে পড়েছে প্রচুর গাছ| পুরীতে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ আছড়ে পড়ার পরই প্রবল গতিতে ঝড়বৃষ্টি শুরু হয় অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমেও| ঝড়বৃষ্টি শুরু হয় পশ্চিমবঙ্গের দিঘা, মন্দারমণি-সহ উপকূলবর্তী অঞ্চলে|গতকাল দিনভর ফণীর তাণ্ডবে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৯। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী পুরীতে মৃত্যু হয়েছে মোট ৩ জনের। এদের মধ্যে রয়েছে ১ কিশোর। পাশাপাশি ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে ভুবনেশ্বরে। নয়াগড় ও কেন্দ্রপাড়ায় মৃত্যু হয়েছে আরও ৩ জনের। গত ২০ বছরে সবচেয়ে শক্তিশালী ঘুর্ণিঝড় ছিল ফণীণি। ১৯৯৯ সালের ওই সাইক্লোনে ওডিশায় মৃত্যু হয় কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষের।যার তুলনায় এবারের মৃত্যু ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক কম | এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ভারতীয় আবহাওয়া দফতর থেকে স্থানীয় প্রশাসন। যার জন্য ভারতের আবহাওয়া দফতর ও প্রশাসনের প্রশংসা করল রাষ্ট্রসংঘ |
রাষ্ট্রসঙ্ঘ সেক্রিটারি জেনারেলের ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশনের প্রধান মামি মিজুতোরি বলেন, “ফণীর গতিবিধির সুনির্দিষ্ট আগাম পূর্বাভাস করায় প্রাণহানি কমানো গিয়েছে।” আবহাওয়া দফতর, স্থানীয় প্রশাসনের তত্পরতার প্রশংসা করে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। ঝড়ের পূর্বাভাস মিলতেই কয়েকদিনের মধ্যে প্রায় ১২ লক্ষ মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়। ওডিশার উপকূলে প্রায় ২.৮০ কোটি মানুষ বসবাস করেন। ৪ হাজার পরিবারকে নিরাপদে সরিয়ে আনার পাশাপাশি, স্কুল, কলেজ, অফিস-ও ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়।