নিজস্ব প্রতিনিধি, চড়িলাম,২২ এপ্রিল৷৷ বিশালগড় থানার অন্তর্গত কড়ইমুড়া, মুড়াবাড়ি, লস্কর চৌমুহনী সহ আশপাশের পাশ্ববর্তী এলাকার মানুষ সোমবার দিনভর এক পাগলা কুকুরের যন্ত্রনায় অতিষ্ঠ৷ এলাকার প্রায় ১৫ জল লোককে কামড়ে দিয়েছে এই পাগলা কুকুর৷ আগরতলা শহর থেকে অনেক দূরে অবস্থিত এই এলাকা৷ পশম নামের কুকুরদের নিয়ে গড়ে উুঠা সামাজিক সংস্থাও এই এলাকায় এসে পৌছাননি খবর লেখা পর্যন্ত৷ ঘটনার র বিভৎসতায় বিশালগড় হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসকরাও খোদ আশ্চর্য হয়ে গেছে৷ এক সাথে এতজন মানুষকে কুকুর কামরানোর ঘটনা উনাদের সার্ভিস রেকর্ডেও নেই বলে জানান বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত এস ডি এমও জে, এম দাস৷

সোমবার সকাল দশটা নাগাত প্রথম বিশালগড় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কুকুরে কামড়ানো দুজন ব্যাক্তিকে জরুরীকালিন চিকিৎসার জন্য বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে৷ কিন্তু পুলিশ, প্রশাসন অন্যান্য আরও সাধারণ কোন ঘটনার মত উক্ত ঘটনাটিতেও তেমনভাবে কোনরকম গাঁয়ে লাগিয়ে সারার দেননি বলে বুঝা গেছে এলাকার মানুষদের কথায়৷ যার কারণে এর পরবর্তী তিন ঘণ্টার মধ্যে কুকুরটি আরও বেশ কয়েকজন পথচারী থেকে শুরু করে এলাকাবাসীদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে, ও কুকুরের দাঁতের কামড়ে ও নখের আচরে আক্রান্ত হয় ১৫ জন৷ বিশালগড় ফায়ার সার্ভিসকে আবারও কল দেওয়া হয়৷ কিন্তু ফায়ার সার্ভিসের একটি ছোট জীপ গাড়ি দিয়ে একসঙ্গে এতগুলো মানুষ যায়গা না হওয়ার কারণে অন্যান্য প্রাইভেট অটো ও অন্যান্য যানবাহনের মাধ্যমে কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত ব্যাক্তিদেরকে হাসপাতালে আনা হয়৷ এই ঘটনায় আহত ব্যাক্তিরা হলেন, স্মৃতি সূত্রধর, সঙ্কর দাস, রঞ্জিত দাস, রঞ্জিত সরকার, আলমিন হোসেন, বাপি মজুমদার, রানুয়ারা বেগম, রায়হান খান, গিয়াস উদ্দিন, পূর্ণিমা বেগম, কামাল হোসেন, ভানু মিঞা, মল্লিকা দাস, সান্তা বেগম, মঞ্জু দাস৷
অথচ উল্লেখ করার বিষয় বেলা একটা পর্যন্তও কুকুরটিকে আটক করার মত কোন ব্যবস্থা প্রশাসন করে ঠতে পারেনি৷ ঘুম পাড়ানী গুলি ব্যবহার করতেও দেখা যায়নি এতাটা সময় পর্যন্ত৷ আর এদিকে পুরু এলাকায় অঘোষিত ১৪৪ ধারা জারী হয়ে যায় মানুষের মনে৷ আতঙ্কে, বাড়ি ঘরের দরজায় খিল লাগিয়ে এলাকাবাসী তখন ইষ্ট নাম জপ করছে৷ ভগবানের উদ্দেশ্যে এই পাগলা কুকুর নামক ভয়ানক সঙ্কট থেকে মুক্তি প্রাপ্তির জন্য কিইবা করার আছে এলাকার সাধারণ নাগরিকদের? কারণ রাষ্ট্রপতি কালার্স প্রাপ্ত বর্তমান ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্ণের পুলিশ প্রশাসন যে এখন ঢাল, তরোয়াল বিহীন, নিধিরাম সর্দারের মত অবস্থায় সোমবারের এই ভয়ানক দিনটির সাক্ষী থাকতে পেরে একটা বিষয় খুব শিক্ষনীয় জিনিস লক্ষ করা গেল যে একটা হিংস্র পাগলা কুকুরকে নিস্ক্রিয় করতে পুলিশ, প্রশাসন যে টালবাহানা করছে তার কারণেই এদিন ঘটনার এই ঘটনার ভয়াবহতা৷ ত্রিপুরা রাজ্যের আপামর জনসাধারনের নাগরিক নিরাপত্তা পরিষেবা যে কি পরিমানে তলানীতে ঠেকেছে তা এই দুর্ঘটনা থেকে জলের মত পরিষ্কার৷ যে পুলিশ, প্রশাসন একটা পাগলা কুকুরের কাছে যেভাবে আত্মসমর্পন করেছে আগামীতে ভগবান না করুক রাজ্যে কোন হামলা বা এর থেকে বড় কিছু হয় তাহলে কিন্তু রাজ্যের মানুষের জন দুর্ভোগের চূড়ান্ত সীমা উলঙ্ঘন করে ফেলবে৷ তাই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের কাছে কড়ইমুড়া, মুড়াবাড়ি, লস্কর চৌমুহনী এলাকার মানুষের দাবি অচিরেই যেন রাজ্যের পুলিশ, প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ট্রেনিং এর মাধ্যমে আরও বেশি সক্রিয় করা হয়৷ আর না হলে রাজ্যের মানুষের দুর্গতি আরও দিন কে দিন বেড়েই চলবে৷