বাম প্রার্থীর সভায় বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১০ এপ্রিল৷৷ পূর্ব ত্রিপুরা উপজাতি সংরক্ষিত আসনের সিপিআইএম প্রার্থী জিতেন্দ্র চৌধুরী মোহর ছাড়া বাজারে ভোট প্রচারে বাজার সভা করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হলেন৷ আগাম প্রশাসনের অনুমতি নেওয়ার সত্য সিপিআইএম প্রার্থী কে মোহরা বাজারে বাজার সভা করতে দেওয়া হয়নি৷ একই সময়ে শাসক দল বিজেপি মোহর ছড়া বাজারে মাইক লাগিয়ে বাজার সভা শুরু করে৷ এর ফলে ভেস্তে যায় সিপিআইএমের বাজার সভা৷ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সিপিআইএম পূর্ব ত্রিপুরা সংরক্ষিত আসনের প্রার্থী জিতেন্দ্র চৌধুরী৷

আগামী ১৮ এপ্রিল পর্ব ত্রিপুরা উপজাতি সংরক্ষিত আসনে ভোটগ্রহণ৷ সামনে আর মাত্র কয়েকদিন বাকি৷ শেষ পর্যায়ে এসে সবকটি রাজনৈতিক দলে ভোট প্রচারে জোর দিয়েছে৷ শাসক দল বিজেপি প্রচারে দাপিয়ে বেড়ালেও বিরোধী দলের প্রচারে নানাভাবে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ৷ প্রশাসনের কাছ থেকে আগাম অনুমতি নেওয়ার পর নির্দিষ্ট স্থানে সভা সমাবেশ করতে দিচ্ছে না শাসক দলের লোকজনরা৷ এ ধরনের ঘটনার সাক্ষী রইলেন মোহরা বাজারের মানুষজন৷ বুধবার মোহর ছড়া বাজারের সাপ্তাহিক হাট৷ বিরোধীদল সিপিআইএম বুধবার মুখচোরা বাজারে বাজার সভা করার জন্য আগাম অনুমতি নিয়ে ছিল৷ সকাল ১০ টা থেকে ম বাজারে সিপিএমের বাজার সভা করার কথা ছিল৷ সে অনুযায়ী পূর্ব ত্রিপুরা সংরক্ষিত আসনের সিপিআইএম প্রার্থী জিতেন্দ্র চৌধুরী মোহন চোরা বাজারে বাজার সভা করতে জান৷ তখন ঐ বাধাপ্রাপ্ত হন সিপিআইএম প্রার্থী৷ একই সময়ে বাজারে শাসকদল বিজেপির বাজার সভা চলছিল৷ বাজারে পুলিশ ও নিরাপত্তা কর্মীরা থাকলেও সিপিএম দলকে বাজার সভা করতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ৷ আগাম অনুমতি দেওয়ার পরও বাজার সভা করতে না পারায় বিষয়টি সিপিআইএম প্রার্থী জিতেন্দ্র চৌধুরী এস ডি এম কে জানান৷ এসডি এম নিজেও নাকি প্রার্থী জিতেন্দ্র চৌধুরীকে জানিয়েছেন এই সময় সিপিআইএমের সভা করার অনুমতি রয়েছে৷ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে সিপিআইএম প্রার্থী জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেন, বিজেপি সংবিধান মানে না, গণতন্ত্র মানে না৷ বিজেপি একদলীয় শাসন কায়েম করতে চাইছে৷ মোহর ছড়া বাজারের এই ঘটনা তারই প্রমাণ বলেও তিনি উল্লেখ করেন৷

মুহূর্তরা বাজারে অবস্থানরত কল্যাণপুর থানার ওসির কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান সভা সমাবেশের অনুমতির জন্য থানা থেকে রিটার্নিং অফিসারের অফিসে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আবেদনগুলো পাঠানো হয়৷ সে অনুযায়ী রিটার্নিং অফিসারের অফিস থেকেই রাজনৈতিক দলগুলিকে সবার সমাবেশের সময় নির্ধারণ করে দেয়া হয়৷একই সময়ে কিভাবে দুটি রাজনৈতিক দলের প্রচার সভা করার জন্য অনুমতি দেওয়া হল সেই প্রশ্ণের উত্তরে কলানপুর থানার ওসি জানান বাজারটির একাংশ কল্যাণপুর থানার অন্তর্গত, অপর অংশ তেলিয়ামুড়া থানার অন্তর্গত৷ স্বাভাবিক কারণেই কিভাবে দুটি দল অনুমতি পেল তা নিয়ে তিনি নির্দিষ্টভাবে কিছুই বলতে পারছেন না৷ বিষয়টি সম্পূর্ণ ভাবেই রিটার্নিং অফিসারের অফিস এর ওপর নির্ভর করছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন৷

সিপিআইএম প্রার্থী জিতেন্দ্র চৌধুরী অভিযোগ করেছেন নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করার জন্যই শাসক দল বিজেপি নানাভাবে চক্রান্ত শুরু করেছে৷ শাসক দলের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছেন সিপিআইএম প্রার্থী জিতেন্দ্র চৌধুরী৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *