নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১ এপ্রিল ৷৷ আসন্ন সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনকে নির্ঝঞ্ঝাট করতে ভারতের নির্বাচন কমিশন দেশের প্রত্যেক রাজ্য প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে৷ ওই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে অসম এবং ত্রিপুরায়ও কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে প্রতিবেশী দুই রাজ্য প্রশাসন৷ নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকাকে কার্যকর করতে অসম এবং ত্রিপুরার বিভিন্ন থানা এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় ও সংশ্লিষ্ট রাজ্যের নিরাপত্তা বাহিনী৷ এই সব বাহিনীর জওয়ানরা রুটিন মাফিক নিজ নিজ এলাকার প্রতিটি ভোট কেন্দ্রের আশপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন৷

প্রতিদিন নিয়মিতভাবে এলাকার ভোট সংক্রান্ত প্রস্তুতি পর্বের সার্বিক রিপোর্ট সংগ্রহ করে জেলার ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের হাতে জমা দিচ্ছেন পুলিশ বিভাগ-সহ গোয়েন্দা শাখার কর্তারা৷ শান্তিপূর্ণভাবে ভোটপর্ব সম্পন্ন করতে সাধারণ ও পুলিশ প্রশাসন অতিমাত্রায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে৷
পুলিশের তৎপরতা বেড়েছে করিমগঞ্জ জেলার অন্তর্গত অসম-ত্রিপুরা সীমান্তবর্তী চোরাইবাড়ি, কদমতলা, কাঁঠালতলি ইত্যাদি অঞ্চলে৷ আন্তঃরাজ্য সীমান্তগুলোর হালহকিকত খতিয়ে দেখতে ত্রিপুরা পুলিশ প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে দলবল নিয়ে এলাকা পরিদর্শন করেছেন করিমগঞ্জের সদর ডিএসপি সুধন্য শুক্লবৈদ্য৷ উত্তর ত্রিপুরার চোরাইবাড়ি থানার ওসি জয়ন্ত দে এবং কদমতলা পুলিশেতর এক দল সঙ্গে নিয়ে করিমগঞ্জের সদর ডিএসপি সুধন্য শুক্লবৈদ্য কাঁঠালতলি, মেদলিছড়া, দামছড়া, কদমতলা, ঝেরঝেরি, কুর্তি, পুতনি, চাম্পাবাড়ি, চোরাইবাড়ি (অসম) প্রভৃতি এলাকা পরিদর্শন করে স্থানে স্থানে নাকাচেকিংঙের মাধ্যমে বিভিন্ন হালকা যানবাহনেও তল্লাশি চালান৷ সেই সঙ্গে ওই দলটি আন্তঃরাজ্য সীমান্তের আশপাশে অবৈধভাবে গজিয়ে ওঠা বিভিন্ন মদের ডেরাও ভেঙে গুঁড়িয়ে দেন৷
তাঁদের অভিযান সম্পর্কে তথ্য দিয়ে ডিএসপি সুধন্য শুক্লবৈদ্য জানান, ভোটের দিন পর্যন্ত প্রতিবেশী দুই রাজ্য প্রশাসনের এমন রুটিন তল্লাশি অব্যাহত থাকবে৷ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করতে প্রশাসন বদ্ধপরিকর৷