ভোট লড়াইয়ে দুই শরিক দল

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২২ মার্চ৷৷ লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের দুটি আসনে প্রার্থী মনোনয়ন কে কেন্দ্র করে শাসক জোট বিজেপি এবং আইপিএল এর মধ্যে বিরোধ প্রকাশ্যে এলো৷ জোট শরিকরা দুটি কেন্দ্রে পৃথক পৃথকভাবে প্রার্থী দিচ্ছে৷ শুক্রবার পশ্চিম ত্রিপুরা সাধারণ আসনে বিজেপি প্রার্থী প্রতিমা ভৌমিক এবং আই পি এফ টি প্রার্থী শুক্লা চরণ নোয়াতিয়া মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন৷ মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য রাজধানী আগরতলা শহরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছিল৷ সকাল থেকেই আগরতলা শহরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানদের মোতায়েন করা হয়৷ পূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে প্রার্থীরা মিছিল করে রিটার্নিং অফিসারের অফিসের সামনে গিয়ে সমবেত হন৷ সেখান থেকে প্রার্থীরা রিটার্নিং অফিসারের অফিসে গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন৷ মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে কোথাও থেকে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর নেই৷


মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে মিছিলে অংশগ্রহণ করে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আইপিএফটি প্রার্থী বলেন, আইপিএফটি জোট সরকারে থাকলেও খোলা মাঠে বিজেপিকে দুটি আসন ছেড়ে দিতে নারাজ আইপিএফটি৷ পূর্ব ত্রিপুরা উপজাতি সংরক্ষিত আসনটি আইপিএফটিকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য বিজেপির কাছে দাবি জানানো হয়েছিল৷ কিন্তু বিজেপি কথা রাখেনি৷ সে কারণেই আইপিএফটি রাজ্যের দুটি লোকসভার আসনে পৃথকভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে৷ এডিসি এলাকাকে নিয়ে পৃথক ত্রিপুরা ল্যান্ড গঠনের দাবিতেই তারা লোকসভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে বলেও তিনি জানান৷
এদিকে, পশ্চিম ত্রিপুরা সাধারন আষনে ত্রিপুরা পিপলষ পার্টির প্রার্থী প্রদীপ চক্রবর্তীও শুক্রবার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন৷ এদিকে, পূর্ব ত্রিপুরা উপজাতি ষংরক্ষিত আষনে শুক্রবার বামফ্রন্ট ষমর্থিত ষিপিআইএম প্রার্থী জিতেন্দ্র চৌধুরী ধলাই জেলার আমবাষায় মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন৷ এদিকে, বুধবার আগরতলায় পশ্চিম ত্রিপুরা সাধারণ আষনে বামফ্রন্ট মের্থিত সিপিআইএম প্রার্থী শংকর প্রসাাদ দত্ত মনোনয়নপত্র জমা দেন৷
এদিন পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বিভিন্ন জনজাতি অধ্যুষিত এলাকাগুলি থেকে বেশ ভালই কর্মী সমর্থকদের জড়ো করে আইপিএফটি৷ রাজ্যে জোট সঙ্গী বিজেপি ও আইপিএফটি৷ অথচ লোকসভা নির্বাচনে পৃথকভাবে প্রার্থী দিচ্ছে দুই দল৷ অসমে অগপ এর মতো দল শেষ পর্যন্ত জোটবদ্ধ হয়ে প্রার্থী দিলেও রাজ্যে আইপিএফটিকে কোনভাবেই মানানো যায়নি৷ রামমাধব, সুনীল দেওধর এর মতো নেতৃত্বদের মধ্যস্থতায়ও রফা হয়নি৷ নির্বাচনের প্রাক্ মুহূর্তে রাজনীতিতে পোড় খাওয়া সুবল ভৌমিক বিজেপি ছেড়ে চলে যান কংগ্রেসে৷ আইএনপিটির মতো আরও একটি জনজাতি ভিত্তিক আঞ্চলিক দল পশ্চিম ত্রিপুরা সাধারণ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে৷ তবে কি লোকসভা নির্বাচন ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে অন্য কোনও জটিল অঙ্ক কাজ করছে? সেটাই এখন বড় প্রশ্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ তবে চূড়ান্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কারা থাকছেন সেই চিত্র স্পষ্ট হবে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময়সীমা পার হবার পর৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *