নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৬ মার্চ৷৷ বেশ কিছুদিন ধরে রাজ্যে নানান প্রতারক চক্রের খপ্পরে পরে অনেক অর্থ খুয়িছেন অনেকেই৷ তারপরও এইসব প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেই প্রশাসনের৷যার ফলে এইসব চক্রের বাড়বাড়ন্তে অতিষ্ঠ রাজ্যবাসী৷
শুক্রবার রাতেও প্রতারক চক্র সন্দেহে কৈলাশহরের দুই যুবককে আটক করে এলাকাবাসী৷ধৃত দুই যুবকের নাম রাহুল আকতার ও বিশ্বজিৎ বৈদ্য৷ঘটনা উনকোটি জেলার কুমারঘাটে৷

প্রতারনার শিকার কুমারঘাটের অজিৎ ধর অভিযোগ করেন গত কিছুদিন ধরে বেসরকারী টেলিকম সংস্থা ভোডাফোনের নাম করে ঐ ব্যাক্তিকে ফোন করা হচ্ছিল এবং তাদের কোম্পানির টাওয়ার উনার বাড়িতে বসানোর নামে ঐ কোম্পানিরই ডেলমানি সিকিউরিটি প্রাইভেট লিমিটেড সংস্থার হেল কার্ড করার নাম করে ১৭ হাজার টাকা দেবার কথা বলে এবং কৈলাশহরের জনৈক ব্যাক্তির কাছ থেকে এমনি করে টাকাও আদায় করে৷ বিনিময়ে কোন রসিদ বা কার্ড কিছুই পাননি উনি ৷এমনকি ঐ যুবক টাকা এনে তাদের সাথে আর সাক্ষাৎও করেনি বলে অভিযোগ৷শুক্রবার রাতে একই ভাবে কুমারঘাটের অজিৎ ধরের কাছ থেকেও টাকা নিতে আসে ঐ দুই যুবক৷ তখন যুবকদের কথাবার্তায় সন্দেহ হয় ঐ ব্যাক্তির ৷এমনকি তারা তাদের কোম্পানির কোন ধরনের নথিপত্র দেখাতে পারেনি৷ তখন স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয় এবং কুমারঘাট থানার পুলিশ এসে দুই যুবকে থানায় নিয়ে যায়৷ এবিষয়ে অভিযুক্ত রাহুল আকতার জানায়, সে কিছুদিন পূর্বে এই কাজে যোগ দেয় এবং তাকে কোম্পানি থেকে কাষ্টমারের মোবাইল নম্বর দিয়ে তাদের ফোন করে টাকার চেক আনতে বলা হয় এবং সেই চেক এনে তারা কোলকাতায় কুরিয়ারের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেয়৷ এর বিনিময়ে তাদেরকে বিগত দুমাস ধরে মাসিক বেতন প্রদান করে আসছে ঐ কোম্পানিটি৷
অন্যদিকে, বিশ্বজিৎ বৈদ্য দাবি করে সে এইসবের সঙ্গে জড়িত নয়,সে তার বন্ধু রাহুলের সাথে এসেছে৷ এই বিষয়ে কিছুই জানেনা বিশ্বজিৎ৷ গোটা বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নেমেছে কুমারঘাট থানার পুলিশ৷ প্রশাসন এইসবের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করুক চাইছেন অভিজ্ঞ মহল৷