নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১১ মার্চ ৷৷ বেশ কিছুদিন যাবৎ উনকোটি জেলার কুমারঘাটে বিভিন্ন নেশার বানিজ্য বেশ জাকিয়েই বসেছে।কুমারঘাট থানার পুলিশকে দেওয়া অদৃশ্য মাসোহারার বিনিময়ে কুমারঘাট ফটিকরায় সহ আশপাশ এলাকায় অবাধে নেশার বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে নেশা কারবারীরা আর এতে ধ্বংসের মুখে পতিত হচ্ছে এলাকার যুব সমাজ।আজ থেকে প্রায় সপ্তাহ খানেক আগেও মদ খাওয়া নিয়ে কুমারঘাটের একটি হোটেলে দোকান মালিক ও খোদ্দেরের মধ্যে মারধোরের ঘটনায় সরগরম হয়ে উঠেছিল কুমারঘাট।কিন্তু ঘটনাস্থলে পৌছোনোর প্রয়োজনটুকু বোধ করেনি কুমারঘাট থানার পুলিশ।কেন তার কারনটা হয়তো দর্শকরা উপলব্ধি করতেই পারছেন।

বিশেষ করে কুমারঘাট রেল স্টেশন চত্তরে ইচ্ছাকৃত পুলিশি ঠিলেঢালা নিরাপত্তার দরুন স্টেশনের আশপাশে দীর্ঘদিন ধরে অবাধে চলে আসছে নেশা সামগ্রীর আদান প্রদান ও ড্রাগসের মতো মারাত্মক নেশা নেশার ব্যবহার এলাকার উঠতি বয়সী যুবকদের মধ্যে।এমনকি কুমারঘাটের বাইরে থেকেও যুবকরা ড্রাগস ব্যবহারের ফায়দা লুটতে ছুটে আসছে কুমারঘাটে।কিন্তু এসব বিষয়ে সব জেনেও নাজানার ভান করে আসছে কুমারঘাট থানার করিদকর্মা পুলিশ কর্তা একমাত্র মাসোহারার বাধনে আকটে গিয়ে এমনই আভিযোগ স্থানীয়দের।এবারে দিনে দুপুরে আগরতলা থেকে এসে কুমারঘাট স্টেশনে ড্রাগস নিতে দেখা গেল এক যুবককে।অভিযুক্ত যুবকের নাম স্বপন দেবনাথ বলে জানায় ঐ যুবক।
ঐ যুবক কুমারঘাটে তার বন্ধুর বাড়ী থেকে আগরতলায় নিজ বাড়ীতে যাবার উদ্দেশ্যে কুমারঘাট স্টেশনে আসা মাত্রই ট্রেন ছেড়ে দেয় এবং এর কিছুক্ষন পরই স্টেশনে নির্জনতার সুযোগ বুঝে নিজের শরিরে ড্রাগস নিতে থাকে সে এমনটাই জানায় অভিযুক্ত যুবক স্বপন দেবনাথ।
পরে ধীরে ধীরে সুযোগ বুঝে স্টেশন ছেড়ে পালিয়ে যায় ঐ যুবক।আর কুমারঘাট রেল স্টেশনের দিনের চিত্র যদি এই হয় তাহলে রাতের চিত্র কি হবে তা সহযেই অনুমেয়।শুধু তাই নয় উঠতি বয়সী যুবক যুবতি রাতের আধারে আড্ডা জমায় স্টেশন চত্তরে এবং সুযোগ বুঝে নানান অসামাজিক কাজে লিপ্ত হয় বলে অভিযোগ।
কুমারঘাট স্টেশনে পুলিশের নিরাপত্তা কঠোর না থাকার ফলেই দিনে দুপুরেও অবাধে চলে আসছে ড্রাগসের ব্যাবহার এবং রাতের আধারে চলে আসছে নানান অসাজিক কার্যকলাপ বলে অভিযোগ স্থানীদের।
কুমারঘাট স্টেশনে পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো সহ নেশা নেশার বিরুদ্ধে পুলিশকে কঠোর হবার আবেদন কুমারঘাটবাসীর।আর পুলিশ যদি নিজেদের স্বার্থের কথা ভেবে এসব বিষয়ে পদক্ষেপ না তবে এলাকার যুবসমাজ যে আগামী দিনে ধ্বংসের মুখে চলে যাবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।তখনকি এদের দায়ভার বহন করবে কুমারঘাট থানার করিদকর্মা পুলিশ প্রশ্ন জনমানসে।