নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১ মার্চ৷৷ শূণ্যপদ ইস্যু বুমেরাং হল বিরোধীদের৷ এই ইস্যু নিয়ে রাজ্য সরকারকে কোণঠাসা করতে গিয়ে উল্টো বিরোধীরাই অপমানিত হলেন৷ ট্রেজারি বেঞ্চের সদস্যদের সাড়াসি আক্রমণে কোনওভাবেই এই ইস্যুতে ফায়দা তুলতে পারেননি বিরোধীরা৷ বিধানসভায় রাজ্য সরকারকে বেকায়দায় ফেলার সুযোগ না পেয়ে ক্ষোভে অধিবেশন ছেড়ে বেরিয়ে যান বিধায়ীকা বিজিতা নাথ৷ ট্রেজারি বেঞ্চের সদস্যদের অশুভন আচরণের অভিযোগ এনে বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার বিরোধী সদস্যদের নিয়ে অধিবেশন থেকে ওয়াক আউট করেন৷ তাতেও সমালোচিত হন বিরোধীরা৷ বিরোধী দলনেতা সংসদীয় রীতি ভুলে গিয়ে যেভাবে ওয়াক আউট করেছেন তারজন্য ট্রেজারি বেঞ্চের সদস্যরা ধিক্কার জানিয়েছেন৷

বাজেট অধিবেশনের অন্তিম দিনে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে শূণ্যপদ পূরণ নিয়ে বেসরকারী প্রস্তাব আনেন বিধায়ীকা বিজিতা নাথ৷ এই প্রস্তাবের উপর আলোচনায় শ্রীমতি নাথ বলেন, রাজ্যে এখন শূণ্যপদ পূরণের কোনও উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না৷ বর্তমানে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ২৭ হাজার ২৮৯টি পদ শূণ্য পড়ে রয়েছে৷ উপরন্তু নয়া নিয়োগ নীতি অনুসারে গ্রুপ ডি পদ বাতিল করে দেওয়া হয়েছে৷ তাঁর অভিযো, ২০১৮ সালের মার্চ পর্যন্ত বেকারের হার ১৫ শতাংশ ছিল৷ কিন্তু, এখন তা বেড়ে হয়েচে ৩৯ শতাংশ৷ তাঁর দাবি বেকারত্বে সারা দেশে ত্রিপুরা কেন শীর্ষ স্থানে রয়েছে৷ বিরোধী সদস্য এই অভিযোগে ক্ষোভ ফেটে পড়েন ট্রেজারি বেঞের সদস্যরা৷ বিধায়ক ডাঃ দিলীপ দাস, মুখ্য সচেতক কল্যাণী রায়, বিধায়ক শঙ্কর রায় বামফ্রন্ট সরকারের আমলেই রাজ্যে বেকারের সখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে সোচ্চার হন৷ তাদের বক্তব্য, দীর্ঘ ২৫ বছরের অপশাসনের ফলেই রাজ্যে বেকারের হার এক বেড়েছে৷
বিধায়ক ডাঃ দাস মনে করিয়ে দেন ১০৩২৩ জন শিক্ষক নিয়োগ করতে ষোল বছর সময় লেগেছে৷ কিন্তু, ট্রেজারি বেঞ্চের সদস্যদের এই অভিযোগ এড়িয়ে গিয়ে বিধায়ীকা শ্রীমতি নাথ শূণ্যপদ নিয়ে রাজ্য সরকারকেই চাপে ফেলার চেষ্টা করেন৷ অবশ্য, তাঁকে সেই চেষ্টায় কোন ভাবেই সফল হতে দিচ্ছিলেন না ট্রেজারি বেঞ্চের সদস্যরা৷ একের পর এক ট্রেজারি বেঞ্চের সদস্য, বেকার সমস্যার প্রসঙ্গ তুলে বিরোধীদের নিশানা করেছেন৷ ফলে বিধায়ীকা শ্রীমতি নাথ কথা বলার সুযোগই পাচ্ছিলেন না৷ বরং, ট্রেজারি বেঞ্চের সদস্যদের বক্তব্যে তিনি অপমানিত বোধ করেন এবং তাতে তাঁর কান্না পেয়ে যায়৷ ক্ষোভে তিনি সভা ছেড়ে বেরিয়ে যান৷ তিনি বেরিয়ে যাওয়ার পর বিরোধী দলনেতা মানিনক সরকার সভায় আসেন৷ শ্রীসরকার এই বিষয়টি নিয়ে উপার্ধ্যক্ষের সাথে কথা বলতে চান৷ কিন্তু, ওই সময় বিধায়ক আশিষ সাহা বক্তব্য রাখছিলেন৷ তাই উপাধ্যক্ষ বিরোধী দলনেতাকে অপেক্ষা করার জন্য বলেন৷ তখনই বিরোধী দলনেতা বিধানসভায় ট্রেজারি বেঞ্চের সদস্যদের আচরণ অশুভন বলে অভিযোগ করেন৷ সেই সাথে এই সভা বয়কট করে বেরিয়ে যান৷ বিরোধী দলনেতার এই আচরণ সংসদীয় রীতিনীতির বিরুদ্ধ তাই ট্রেজারি বেঞ্চের সদস্যরা বিরোধী দলনেতার আচরণে ধিক্কার জানিয়েছেন৷