মান্দাইয়ে গণহত্যার দোষীদের চিহ্ণিত করতে বিধানসভায় আলোচনা

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৬ নভেম্বর৷৷ বহু পুরানো গণহত্যার মামলার পূণঃতদন্ত দাবি করলেন বিধায়ক সুশান্ত চৌধুরী৷ সোমবার বিধানসভা অধিবেশনে শূণ্যকালে তিনি ঊপাধ্যক্ষের কাছে জানতে চান মান্দাইতে গণহত্যার ঘটনার স্বল্পকালীন নোটিশটি কেন গৃহীত হয়নি৷ তখন উপাধ্যক্ষ তাকে ওই সময়ই সভায় বক্তব্য রাখার অনুমতি দেন৷ তাতে বিধায়ক শ্রীচৌধুরী ২০০৩ সালের ২৬ জানুয়ারি মান্দাই চৌমুহনীতে ১১ জনকে হত্যার ঘটনায় মূল দোষীকে চিহ্ণিত করে শাস্তির ব্যবস্থা করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি জানান৷ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বিষয়টি স্বরাষ্ট্র দপ্তরের কাছে আলোচনা মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন৷

এদিন বিধায়ক শ্রীচৌধুরী বলেন, ২০০৩ ওই ঘটনায় ১১ জন বাঙালি খুন হয়েছিলেন৷ রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে গিয়ে তদানিন্ত বামফ্রন্ট সরকার জাতি ও উপজাতির মধ্যে ভূল বোঝাবুঝির বার্তা ছড়িয়েছিল৷ ওই সময় দুই পক্ষই মামলা করেছিলেন৷ কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে বিরোধী দলের সমর্থক চারজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ৷ তিনি তদানিন্তন বামফ্রন্ট সরকারকে নিশানা করে বলেন, পুলিশ সেদিন নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করতে চাইলেও রাজনৈতিক স্বার্থে তাদের হাতে বেড়ি পড়ানো হয়েছিল৷ ফলে, নিম্ন আদালতে ওই চারজনের বিরুদ্ধে বিচার পক্রিয়া শুরু হয়৷ সুশান্তবাবু জানান, নিম্ন আদালত থেকে মামলাটি জর্জ কোর্টে স্থানান্তরিত হয়৷ ২০১৪ সালে জর্জ কোর্ট ওই চারজনকে বিনা সর্তে মুক্তি দেয়৷ তিনি প্রশ্ণ তুলেন, চারজন অভিযুক্তই বেকসুর খালাস হলে ওই গণহত্যায় আসল আসামী কারা৷ তার অভিযোগ বাম আমলে বহু খুনের ঘটনায় বিচারের বানী নিরবে নিভৃতে কেঁদেছে৷ অনেকেই বিচার পাননি৷ তাই তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে ওই গণহত্যার ঘটনায় পূনঃতদন্তের দাবি জানিয়েছেন৷

তাতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বহু পুরানো ওই ঘটনার খঁুটি নাটি বিষয়গুলি খতিয়ে দেখতে হবে৷ কোথায় ত্রুটি বিচ্যুতি ছিল এবং বর্তমানে ওই মামলাটি কি অবস্থায় রয়েছে রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশককে তা খতিয়ে দেখতে বলবো৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *