নয়াদিল্লি, ১৯ নভেম্বর (হি.স.) : অন্যত্র বদলি করার বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন সিবিআইয়ের ডেপুটি ইনস্পেক্টর জেনারেল মণীষ কুমার
সিনহা। তাঁর দাবি, ডোভাল রাকেশ আস্থানার বাড়িতে হওয়া তল্লাশিতেও হস্তক্ষেপ করেন। গত অক্টোবরে রাকেশ আস্থানা মামলার তদন্তকারী আধিকারিক ছিলেন এম কে সিনহা। গোয়েন্দা প্রধান রাকেশ আস্থানার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করায় সম্প্রতি তাঁকে নাগপুরে বদলি করা হয়। তাঁর অভিযোগ, সিবিআইয়ের দুই কর্তার দ্বন্দ্ব মামলায় একসময়ের সিবিআই আধিকারিক রাকেশ আস্থানার বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতি মামলার তদন্তে নাক গলিয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। সুপ্রিম কোর্টে বদলির নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন মণীশ কুমার সিংহ।
![](https://jagarantripura.com/wp-content/uploads/2013/11/SUPREME-COURT-300x192.jpg)
সোমবার আদালতে তিনি বলেন, তাঁর কাছে এমন কিছু নথিপত্র রয়েছে, যা দেখলে আদালতও স্তম্ভিত হয়ে যাবে। ক্ষমতাশালীদের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ হাতে পেয়েছিলেন। সে খবর চাপা থাকেনি। তাই ইচ্ছাকৃতভাবে, অসাধু উপায়ে দ্রুত বদলি করা হয় তাঁকে। যাতে অভিযুক্তরা রেহাই পেয়ে যান। নিজের আবেদনে সরাসরি জাতীয় উপদেষ্টা অজিত ডোভালের নামও উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, রাকেশ আস্থানার বিরুদ্ধে তদন্তেও অবাঞ্ছিত ভাবে নাক গলাতে শুরু করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। তাঁর বাড়িতে তল্লাশিতেও বাধা দেন।শীর্ষ আদালতে পিটিশনে এম কে সিনহার দাবি করেছেন, মনোজ প্রসাদ, দীনেশ্বর প্রসাদ ও সোমেশ এই অভিযুক্তরা সকলেই এনএসএ অজিত ডোভালের পরিচিত বলে জেরায় জানিয়েছে।
একের পর এক পর্দাফাঁস করে সিনহা জানিয়েছেন, রাকেশ আস্থানার মোবাইল বাজেয়াপ্ত করে তদন্ত চালাবেন বলে অনুমতি নিতে যান। তবে সিবিআই ঊর্ধ্বতন আধিকারিকেরা জানান, এনএসএ থেকে এমন করার কোনও নির্দেশ আসেনি। গত ২২ অক্টোবর অনুরোধ করা হলে তা পত্রপাঠ বাতিল করে দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, অলোক বর্মা ও রাকেশ আস্থানা- সিবিআইয়ের দুই প্রাক্তন সর্বোচ্চ আধিকারিকের বিরুদ্ধেই দুর্নীতির তদন্ত চলছে। দুজনেই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। একদিকে যেমন সিবিআই তদন্ত করছে, অন্যদিকে তেমনই সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশনও তদন্ত করছে। আদালতে মামলা উঠেছে। তার মধ্যেই উঠে এল এনএসএ অজিত ডোভালের নাম। এবার ঘটনা কোনদিকে গড়ায় সেটাই দেখার।
সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন জমা দিয়েছেন ‘নির্বাসিত’ সিবিআই ডিরেক্টর। মঙ্গলবার বিষয়ে শুনানি হবে। তাঁরই সঙ্গে নিজের আবেদনের শুনানি চেয়েছিলেন মণীশ কুমার সিনহা। কিন্তু তাঁর আবেদন খারিজ করে দেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। আস্থানা মামলা ছাড়াও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন মণীশ কুমার সিনহা।