আইজল (মিজোরাম), ১৩ নভেম্বর, (হি.স.) : আগামী ২৮ নভেম্বর ৪০ আসনের মিজোরাম বিধানসভা নির্বাচন। তাই ভোটারদের তাঁতাতে রাজ্যের
বিভিন্ন প্রান্তে নির্বাচনী প্রচারে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। ইতিমধ্যে বিজেপি-র পালে হাওয়া তুলতে অসম, ত্রিপুরা, অরুণাচল প্রদেশ-সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা রাজ্যে এসে ভোটের প্রচারে অংশগ্রহণ করে দলীয় কার্যকর্তাদের উদ্বুদ্ধ করা ছাড়াও ভোটারদের আকর্ষিত করতে সক্ষম হয়েছেন।
![](https://jagarantripura.com/wp-content/uploads/2013/12/mizoram-300x271.jpg)
বলেছেন মিজোরামে দায়িত্বপ্রাপ্ত সোশাল মিডিয়া প্রমুখ মানস ডেকা। তিনি বলেন, রাজ্যে এবার প্রতিষ্ঠান-বিরোধী হাওয়া বইছে। একে কাজে লাগাতে আরও কয়েকজন হেভিওয়েট নেতা আসছেন রাজ্যে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় সভাপতি অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং প্রমুখ। তাঁদের নির্ধারিত সূচি জানিয়ে মানস ডেকা জানান, আগামী ২২ নভেম্বর মিজোরামে ভোটপ্রচারে আসছেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন তিনি বিশাল দুটি প্রচারসভায় নির্বাচনী ভাষণ দেবেন। এগুলি রাজধানী আইজল এবং লুংলেই।
এছাড়া ১৬ নভেম্বর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং তিনটি জনসভায় ভাষণ দেবেন। এদিন বেলা ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে সাইয়া (মরাল্যান্ড) এলাকা, ১-টা থেকে ২-টার মধ্যে চাকমা অধ্যুষিত কমলানগর এবং ২.৩০ থেকে ৩-টের মধ্যে রিয়াং অধ্যুষিত মমিত এলাকায় আয়োজিত নির্বাচনী সভায় বক্তৃতা পেশ করবেন।
এছাড়া মিজোরাম বিধানসভা নির্বাচনে ভোটপ্রচারে আসবেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। তাঁর কার্যক্রম ২০ নভেম্বর। এদিন তিনি তিন নির্বাচনী সমাবেশ যথাক্রমে লুংলেই, কলাশিব এবং চম্পাই জেলায় ভাষণ দেবেন।
সোশাল মিডিয়া প্রমুখ মানস ডেকা বলেন, মিজোরামে বিজেপি-র প্রতি যুবসম্প্রদায়ের আকর্ষণ অপ্রত্যাশিতভাবে বাড়ছে। ফলে বিজেপি-র ভরসা যুবসম্প্রদায়। নির্বাচনী হাওয়া দেখে তিনি বুঝতে পারছেন, রাজ্যের পরবর্তী সরকার গঠন বিজেপিই করবে এবং এটা নিশ্চিত। তিনি বলেন, মূলত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আদর্শ ও সবকা সাথ সবকা বিকাশ নীতির ব্যাপক প্রভাব পড়েছে মিজেরামের আনাচে-কানাচে। দশ বছরের কংগ্রেস সরকার রাজ্যের উন্নয়নে কিছুই করেনি। দুর্নীতি আর ভ্রষ্টাচারে ডুবে আছে কংগ্রেস সরকার। তাই রাজ্যের বিকাশ বলতে কিছুই নেই। গ্রামাঞ্চলের অবস্থা ভয়াবহ। ফলে সবদিক ভেবে মিজোরামের জনতা এবার বিকল্প হিসেবে বিজেপি-র ওপর নির্ভর করছেন। অতএব রাজ্যের মুড বোঝে তা হাতছাড়া করতে চাইছে না বিজেপি।